নেইমার আর ইভান রাকেতিচের নৈপুণ্যে বাতে বরিসভকে ২-০ গোলের সহজ জয় পেয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। এ জয়ের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘ই’ গ্রুপে শীর্ষেই থাকল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। বার্সার হয়ে দুটি গোলই আসে ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার রাকিতিচের পা থেকে। তবে দুটো গোলেই অবদান রাখেন ম্যাচজুড়ে আলো ছড়ানো নেইমার।
মঙ্গলবার রাতে বরিসেছের মাঠে দলের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি আর মধ্যমাঠের কারিগর ইনিয়েস্তাকে ছাড়া খেলতে নামলেও প্রথমার্ধে দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো গোলের দেখা পায়নি বার্সেলোনা।
ষষ্ঠ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে অধিনায়ক সের্হিও বুসকেতসের শট লক্ষ্যে থাকেনি। একাদশ মিনিটে পাওয়া সুযোগটা ছিল আরও ভালো; তবে নেইমারের কর্নার থেকে মুনির এল হাদ্দাদির জোরালো শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক। ৩০তম মিনিট জটলার মধ্যে বুসকেতস বল জালে জড়ানোর সুযোগ হারান। ১০ মিনিট পর দানি আলভেসের ক্রস থেকে রাকিতিচের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ফলে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতির আগে বল নিয়ে দৌড়ে গিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন নেইমার; তবে তা লক্ষ্যে থাকেনি। ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে নেইমারের পাস থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে জোরালো শটে ওপরের ডান কোনা দিয়ে জালে জড়ান রাকিতিচ। এ মৌসুমে দলের হয়ে এটা তার প্রথম গোল।
৬৪তম মিনিটে আবারও নেইমার জাদু। বল নিয়ে এগিয়ে ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড ডিফেন্স-চেরা পাস পাঠান রাকিতিচকে। শুয়ে পড়ে ঠেকানোর চেষ্টা করা গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডার।
৮৫তম মিনিটে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন ম্যাচে কিছুটা অনুজ্জ্বল লুইস সুয়ারেস। কিন্তু সতীর্থ কোনো খেলোয়াড়কে বল যোগাতে পারেননি উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের শেষের দিকে সুয়ারেস ডি-বক্সে বল জুগিয়েছিলেন নেইমারকে; তবে বল বুক দিয়ে নামিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট ভলি করেন ব্রাজিল তারকা।
ম্যাচে গোল করার একটি ভালো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিকরা। তবে বার্সেলোনাকে কম গোলে আটকে রাখতে পেরে কিছুটা সান্ত্বনা পেতে পারে বেলারুশের চ্যাম্পিয়নরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার বছর আগের দেখায় দুই লেগে ৫-০ ও ৪-০ গোলে হেরেছিল তারা।
বিডি-প্রতিদিন/২১ অক্টোবর, ২০১৫/মাহবুব