কানাডিয়ান বাছাই খেলোয়াড় ভাসেক পসপিসিলের কাছে সরাসরি সেটে পরাজিত হয়ে এটিপি ইন্ডিয়ান ওয়েলস মাস্টার্স টেনিসের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছেন বিশ্বের এক নম্বর তারকা এন্ডি মারে।
বিশ্বের ১২৯তম র্যাঙ্কধারী পসপিসিলি দ্বিতীয় রাউন্ডে মারেকে ৬-৪, ৭-৬ (৭/৫) গেমে পরাজিত করে তৃতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছেন। মূলত আগ্রাসী সার্ভিস ও ভলি স্টাইলের কৌশল দিয়েই ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় জয় তুলে নিয়েছেন এই কানাডিয়ান।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার পরে স্কটিশ তারকার এটি আরেকটি হতাশাজনক পরাজয়। ইন্ডিয়ান ওয়েলসে ২০০৯ সালে রাফায়েল নাদালের কাছে ফাইনালে পরাজিত হয়ে রানার্স-আপ হয়েছিলেন মারে। এরপর আর কোনদিনই ফাইনালে খেলতে পারেননি। গত বছর মারে তৃতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তবে গত সপ্তাহে দুবাই ওপেনের শিরোপা জেতার পরে মারেকে নিয়ে অনেকেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন।
ম্যাচ শেষে হতাশ মারে বলেছেন, ‘আমি জানি আজ ঠিক কি হয়েছিল। কারণ এখানে অনুশীলনে আমি বেশ ভাল করেছি। এছাড়া গত কয়েক বছরেও এখানেই ভালই খেলেছিলাম। যদিও কিছু কিছু বছর আমার ভাল কাটেনি। কিন্তু আজকের পরাজয় আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’
দুইবার ব্রেক পয়েন্ট পেয়ে এগিয়ে গেলেও মূলত প্রথম সেটে পরাজয়টা মারে কিছুতেই মানতে পারছেন না। কিন্তু পিছিয়ে পড়ার পিছনে সাতটি ডাবল ফল্টকেও তিনি দায়ী করেছেন। এটাই পরাজয়ের মূল কারণ হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেছেন। এর আগে চারবারের মোকাবেলায় পসপিসিলি একবারও মারেকে পরাজিত করতে পারেননি। প্রথম রাউন্ডে ২৬ বছর বয়সী পসপিসিলি তাউওয়ানের লু ইয়ে-সুনকে পরাজিত করে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠেন। ২০১৪ সালের পরে চতুর্থ শীর্ষ বাছাই হিসেবে তিনি মারেকে পরাজিত করলেন।
জ্যাক সককে সাথে নিয়ে পসপিসিলি উইম্বলডন ডাবলসের শিরোপা জিতেছেন। তিন বছর আগে র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ অবস্থান ২৫’এ উঠেছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে হতাশাজনক পারফরমেন্সে ১৩৫তম স্থানে নেমে যান। গত বছর তিনি অস্ট্রেলিয়ার মার্ক উডফোর্ডের সাথে কাজ করা শুরু করেন। আর নতুন কোচের অধীনে নিজেকে যেন নতুনভাবে ফিরে পেয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/১২ মার্চ ২০১৭/এনায়েত করিম