ইনিংসের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের বোলারদেরকে নিয়ে তারা ছেলেখেলায় মেতে উঠেছে। কিন্তু সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। বিশেষকরে ইনিংসের শেষপর্যায়ে বাংলাদেশের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিং-এর ফলে রীতিমত চাপে পড়ে যায় কিউইরা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে বাংলাদেশের দরকার ২৬৬ রান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৬ রান তুলে ফেলে নিউজিল্যান্ড। অষ্টম ওভারে ১৬ রান করে তাসকিনের শিকার হয়েছেন রনকি। পাঁচ ওভার পর রুবেল আউট করেছেন গাপটিলকে। তৃতীয় উইকেটে ৮৩ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন ও রস টেলর। ৩০তম ওভারে সেই জুটি ভাঙে। ৫৭ রান করে রানআউট হন উইলিয়ামসন। এরপর ৩৯তম ওভারে ৬৩ রান করে ফিরে যান টেলর। তাকে সাজঘরমুখী করেছেন তাসকিন। শেষ ১০ ওভারে দাপট দেখিয়েছেন সৈকত-মাশরাফিরা। ৪৩তম ওভারে নিউজিল্যান্ডকে জোড়া ধাক্কা দিয়েছিলেন সৈকত। তুলে নিয়েছিলেন নেইল ব্রুম ও কোরি অ্যান্ডারসনের উইকেট। নিজের পরের ওভারে জেমস নিশামকেও সাজঘরমুখী করেছিলেন এই ডানহাতি স্পিনার।
কিউই-দের বিপক্ষে এই ম্যাচকে বাংলাদেশের জন্য ‘অঘোষিত ফাইনাল’ বলা চলে। যার জন্য এই ম্যাচে জয় পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ম্যাচে হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হবে বাংলাদেশকে। আর জয় পেলে টিকে থাকবে সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রেও শর্ত রয়েছে। সবার প্রথমে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াকে হারতে হবে। নতুবা যদি কোন কারণে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ ড্র হয়ে যায় তবুও বাংলাদেশ উঠে যাবে সেমিফাইনালে।
বিডি-প্রতিদিন/ ৯ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৯