প্রমীলা ক্রিকেটারকে যৌন নিপীড়ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দিনাজপুরের বহুল আলোচিত সেই ক্রিকেট কোচ আবু সামাদ মিঠুকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন তিনি। পরে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দিনাজপুর আদালতের পরিদর্শক রবিউল ইসলাম বলেন, গত শনিবার কোতয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেট কোচ আবু সামাদ মিঠু মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে। এরপর দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে, এ মামলার আসামি ক্রিকেট কোচ আবু সামাদ মিঠু আদালতে আত্মসমর্পণের খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করেন বিভিন্ন নারী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ 'দিনাজপুর নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সম্মিলিত জোটের' নেতৃবৃন্দ।
গত ৮ জুলাই এক প্রমিলা ক্রিকেটারের বাবা বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় যৌন নিপীড়নকারী ক্রিকেট কোচ আবু সামাদ মিঠুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, মামলায় প্রমীলা ক্রিকেটারের বাবা উল্লেখ করেন, আমার নাবালিকা মেয়ে গত ৩ বছর ধরে দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য ও প্রচেষ্টা ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের কোচ আবু সামাদ মিঠুর অধীনে দিনাজপুর গোর-ই শহীদ বড় মাঠে ক্রিকেট অনুশীলন করে আসছে।
গত ১ জুন বিকেলে মাঠে অনুশীলনের সময় পায়ে বলের আঘাতে জখম হয়। তখন অপর একজন প্রমীলা ক্রিকেটার তার মেয়েকে মাঠে অবস্থিত স্পোটর্স ভিলেজে নিয়ে যান। এসময় মিঠু অপর প্রমীলা ক্রিকেটারকে কৌশলে মাঠে পাঠিয়ে দেন। এরপর চিকিৎসার নামে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এসময় তার চিৎকারে মিঠু তাকে ছেড়ে দিলেও ঘটনা প্রকাশ না করার হুমকি দেন।
আবু সামাদ মিঠু, দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দিনাজপুরের কোচ।
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মিঠুকে ইতিমধ্যেই বিসিবি এবং দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১১ জুলাই ২০১৭/আরাফাত