বাইশ গজের ক্রিকেটে 'অদ্ভূত' রান আউটের ঘটনা নতুন কিছু না। টেস্টে যেমন আছে, তেমন আছে একদিনের ক্রিকেটেও অদ্ভুত কিছু রান আউটের প্রমাণ মেলে ইতিহাসের পাতা থেকে। দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু রান আউট।
১. ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভাইজাগে শেষ ওয়ানডে ম্যাচে বীরেন্দ্র শেবাগ থার্ডম্যানে বল পাঠিয়ে জগিংয়ের ভঙ্গিতে হাঁটতে থাকেন বেশির ভাগ। শেষ দিকটায় শুধু গতি বাড়ান। উইকেটরক্ষক কুমার সাঙ্গাকারা তা দেখে বল ফেরত পেয়ে ছোড়েন নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে। রান আউট হন শেবাগ।
২. ২০০৭ সালেরই নভেম্বরে নয়াদিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় পয়েন্টে বল ঠেলে দৌড়েছিলেন মিসবাহ-উল-হক। দীনেশ কার্তিক বল ছোড়েন নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে। মিসবাহ ক্রিজে পৌঁছে গেলেও থ্রো যাতে না লাগে, তার জন্য লাফিয়ে ওঠেন। বল যখন স্টাম্পে লাগে, তখন তাঁর ব্যাট শূন্যে ছিল। পৌঁছে গিয়েও তাই আউট হলেন মিসবাহ।
৩. ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ইডেনে ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালেস্টেয়ার কুক শিকার হয়েছিলেন এমনই রান আউটের। নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে ১৯০ রানে থাকা কুক একটু এগিয়ে এসেছিলেন। স্কোয়ার লেগ থেকে বিরাট কোহালির থ্রো যাতে শরীরে না লাগে, তারজন্য একটু সরে যান তিনি। থ্রো সরাসরি লাগে স্টাম্পে। ক্রিজে ফিরলে কুক আউট হতেন না।
৪. শারজায় ২০১৬ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মোহাম্বম আমির ছয় মারতে গিয়েছিলেন। সীমানায় ক্যাচ ধরেও ভারসাম্য রাখতে না পেরে বল ফেলে দেন রোস্টন চেস। আমির ভাবেন, ছয় হয়ে গেছে। যখন টের পেলেন, তখন দৌড়তে শুরু করলেন। কিন্তু, চেসের থ্রোয়ে নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে আউট হলেন তিনি।
৫. ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আবুধাবি টেস্টের তৃতীয় দিনে হাস্যকরভাবে রান আউট হন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান আজহার আলি। চার হয়ে গেছে ভেবে দৌড়ননি তিনি। মাঝ ক্রিজে দাঁড়িয়ে আসাদ শফিকের হাতে হাত ঠুকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু, সীমানার ঠিক আগে থেমে যায় বল। মিচেল স্টার্কের থ্রো ধরে উইকেটরক্ষক টিম পেইন রান আউট করে দেন আজহারকে। চর্চা শুরু হয়, এটাই সবচেয়ে অদ্ভুত রান আউট কিনা, তা নিয়ে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ