প্রকৃত শীতার্তরা যাতে শীতবস্ত্র পান সেই লক্ষ্যে গভীর রাতে শহর ও সদর উপজেলা এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও সদর ইউএনও।
শুক্রবার রাতে এভাবে ৩১০ জন শীতার্ত মানুষের গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হয় শীতের কম্বল। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস ও ইউএনও ওয়াশীমুল বারী নিজ হাতে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
শুক্রবার রাত ১০টার পর জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াশীমুল বারী ও জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা সদর উপজেলার হাতিকাটা আবাসনে গিয়ে সেখানকার শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন। পরে জেলা শহরের রেলওয়ে স্টেশনে থাকা ছিন্নমূল মানুষদের ও সদর হাসপাতালের দরিদ্র রোগিদের একটি করে কম্বল দেওয়া হয়। রাতে শহরে এক রিকসাচালকেও কম্বল পরিয়ে দেওয়া হয়। এভাবেই প্রকৃত দুঃস্থদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৩১০টি কম্বল।
কম্বল বিতরণের সময় চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, জড়োসড়ো হয়ে ঘুমিয়ে আছেন দরিদ্র এক মানুষ। গায়ে পাতলা চাদর, যাতে শীত নিবারণ সম্ভব নয়। তাকে ঘুম থেকে না ডেকেই তার গাঁয়ে জড়িয়ে দেওয়া হয় একটি কম্বল।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কম্বল পাওয়া এক দরিদ্র রোগি খুশিতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, খুব ভাল হল, শীতে কষ্ট পাচ্ছিলাম।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, প্রকৃত শীতার্তদের হাতে কম্বল তুলে দেওয়ার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। সরকার থেকে যেসব কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাগত থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ তাফসীর