আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাকে আর দেখা যাবে না। সেটা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডকে পাকাপাকিভাবে জানিয়ে দিলেন এবি ডিভিলিয়ার্স। যদিও আইপিএলে দারুণ ছন্দে থাকার পর ফের একবার দেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এই তারকা।
বছরের শেষে দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে চেয়েছিলেন ডিভিলিয়ার্স। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
করোনার জন্য আইপিএল বাতিল হওয়ার আগে ৭ ম্যাচে ৫১.৭৫ গড় নিয়ে ২০৭ রান করেছিলেন ডিভিলিয়ার্স। স্ট্রাইকরেট ১৫৮.৭৪। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, আইপিএল খেলতে আসার আগে এই বিষয়ে বাউচির (মার্ক বাউচার) সঙ্গে কথা হয়েছিল। আমি তো দেশের হয়ে সবসময় খেলতে রাজি। তবে গত কয়েকদিনে ওর সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনা হয়নি। আইপিএল শেষ হয়ে গেলে ওর সঙ্গে আবার কথা বলার চেষ্টা করব।অবশ্য একই সঙ্গে জুড়ে দেন, আমি চাইলেই তো দলে ঢুকে যেতে পারি না। দল কেমন অবস্থায় আছে সেটাও তো বুঝতে হবে। জাতীয় দলে একাধিক নতুন ছেলে এসেছে। তারা নিজেদের মেলেও ধরেছে। এরপরেও যদি আমার জন্য জায়গা ফাঁকা থাকে তাহলে তো আমি এক পা বাড়িয়ে রেখেছি।
আইপিএল শুরু হওয়ার আগে এই বিষয়ে সাবেক সতীর্থ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান প্রশিক্ষক মার্ক বাউচারের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছিল। বাউচারও দেশজ সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ও আইপিএলে যাওয়ার আগে এই ব্যাপারে কথা হয়। আলোচনা বেশ ভাল জায়গায় রয়েছে। এবি চাইছে আইপিএলে ভাল খেলে বাকি দুনিয়াকে দেখিয়ে দিতে যে ও এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার ক্ষমতা রাখে। এখনো বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে আচমকা অবসর নেওয়ার আগে দেশের হয়ে ১১৪টি টেস্ট, ২২৮টি একদিনের ম্যাচ এবং ৭৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন ডিভিলিয়ার্স।
বিডি প্রতিদিন/এমআই