নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ভারত করে ৩৪৫ রান। টেস্টে অভিষেককারী শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাট কথা বলায় ভারত সাড়ে ৩০০ রানের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে দেখিয়ে দিল কানপুরের বাইশ গজে মোটেও জুজু নেই। ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো বোলাররা বিষ ঢালতে পারলেন না।
দুই কিউয়ি ওপেনার টম ল্যাথাম ও উইল ইয়ং খুব সহজেই ভারতীয় বোলারদের সামলালেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে নিউজিল্যান্ডের রান বিনা উইকেটে ১২৯। ল্যাথাম ৫০ রানে এবং ইয়ং ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে যান। ভারতের কোনও বোলারই অস্বস্তিতে ফেলতে পারেননি কিউয়ি ওপেনারদের।
প্রথম দিনের শেষে ভারতের রান ছিল চার উইকেটে ২৫৮ রান। ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। সেখান থেকে গতকাল শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। শ্রেয়াসের ব্যাট কথা বলে। অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেন তিনি। শ্রেয়াস সেঞ্চুরি করলেও বাকিরা কিন্তু ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিরুদ্ধে সেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি।
২০১৭ সালে ভারতের হয়ে খেলা শুরু করলেও টেস্ট ফরম্যাটে জায়গা পেতে শ্রেয়াসের লেগে যায় চার বছর। কানপুরে সেঞ্চুরি করে শ্রেয়াস দেখিয়ে দিলেন জাত ব্যাটসম্যান যে কোনও ফরম্যাটেই খেলতে দক্ষ। প্রথম দিনের শেষে বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন মাথা ঠান্ডা রেখে খেলতে পারলে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি পাবেন। কিন্তু দুশ্চিন্তা কাজ করছিল তার মনের ভিতরে। সেই কারণে রাতে ভাল করে ঘুম হয়নি শ্রেয়াসের।
কিউয়িদের ইনিংসে ভারতীয় বোলাররা শুরু থেকেই উইকেট তুলতে পারলে শ্রেয়াসের প্রতি সুবিচার করা হত। কিন্তু নিউজিল্যান্ড ব্যাট করার সময়ে কানপুরের বাইশ গজ বোলারদেরই বধ্যভূমি হয়ে ওঠে। অথচ টিম সাউদি কিন্তু সকালে জ্বলে ওঠেন। তিনি একাই পাঁচটি উইকেট নেন। জেমিসন তিনটি এবং অ্যাজাজ প্যাটেল ২টি উইকেট নেনে। ভারতীয় টেল এন্ডারদের মধ্যে রবি অশ্বিন (৩৮) ছাড়া বাকিরা কেউই রুখে দাঁড়াতে পারেননি। ফলে ভারতও ৩৪৫ রানের বেশি করতে পারেনি প্রথম ইনিংসে। ম্যাচে ফিরতে হলে আজ শনিবার তৃতীয় দিনের সকাল থেকেই উইকেট তুলতে হবে অশ্বিনদের।
ভারত: ৩৪৫/১০ (গিল-৫২, শ্রেয়স-১০৫, জাদেজা-৫০, সাউদি-৬৯/৫)
নিউজিল্যান্ড: বিনা উইকেটে ১২৯ (ল্যাথাম ৫০*, ইয়ং ৭৫* )
দ্বিতীয় দিন শেষে ২১৬ রানে পিছিয়ে নিউজিল্যান্ড
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত
