ক্রাইস্টচার্চের সবুজাভ উইকেট পেস বোলারদের সহায়ক হবে তা আগে থেকেই জানা ছিল। বাড়তি গতির সঙ্গে বাউন্সও পাওয়া যাবে। ব্যাটসম্যানদের জন্য রীতিমত হুমকি হয়ে ওঠার কথা ২২ গজ। কিন্তু বল হাতে বিবর্ণ দিন কাটালেন বাংলাদেশের পেস ত্রয়ী। তাসকিন, শরিফুল ও ইবাদত কেউই কিউই ব্যাটারদের জন্য হুমকি হতে পারেননি। নিখুঁত লাইন ও লেন্থ ধরে বোলিং করতে না পারায় সারা দিনে একটির বেশি উইকেট নিতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।
ওপেনার উইল ইয়ংয়ের একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম। এরপর থেকে শাসন করে গেছেন কিউই ব্যাটাররা। দিনশেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৪৯ রান। খেলা হয়েছে পুরো ৯০ ওভার। ডাবল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে আছেন টম লাথাম। তার সঙ্গী ডেভন কনওয়ে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে থেকে দিন শেষ করেন। সিরিজের প্রথম টেস্টে বল হাতে বাজিমাত করলেও এই ম্যাচে তার যেন ছিটেফোঁটাও নেই ইবাদত হোসেনের বোলিংয়ে। অন্তত দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিন পুরোপুরি ব্যর্থ তিনি। ইবাদত প্রথমদিনে ২১ ওভার বল করেছেন। দিয়েছেন সর্বোচ্চ ১১৪ রান। মেডেন নিয়েছেন মাত্র ১টি।
দিনের খেলা শেষ বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন অভিজ্ঞতাকে কাঠগড়ায় তুললেন। তিনি বলেন, পিচে আশানুরূপ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আমরা ভালো বলও করিনি, না হলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারত। ছেলেরা ভালো করার চেষ্টা করছে। এবাদত এই ম্যাচে সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার যে খেলেছে মোটে ১২ ম্যাচ। তাসকিন নবম ম্যাচ খেলছে, শরিফুল তৃতীয়। এটা তাদের জন্য শিক্ষা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কঠিন। এখানে সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। গত ম্যাচের মত আমরা আজ শৃঙ্খলা রাখতে পারিনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত