চলতি আসরের আইপিএল প্লে-অফের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল কেএল রাহুলের লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। রানে জয়টাও এলো তার সাবেক দল পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে। তাই এই জয়টা একটু বেশি স্বস্তি দেবে রাহুলকে। ম্যাচটা একটা বিষয় সব দলের কাছেই পরিস্কার করে দিল। পরিকল্পনা বদলের সময় চলে এসেছে।
এবারের আইপিএলে পরপর ম্যাচ হচ্ছে। তাই ২২ গজ ক্লান্ত। আগের মত গতি পাওয়া যাচ্ছে না। কাজ করছে না শিশির ফ্যাক্টর। তাই টস জিতলেই প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত সব সময় ঠিক নাও হতে পারে। বড় স্কোরের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে কমে আসছে। যে সব দলে ব্যালেন্সের অভাব তাদের কাজটা ক্রমশ কঠিন হবে। পাঞ্জাব কিংসের মিডল অর্ডারে বেয়াস্টো, লিভিংস্টোনদের মত ক্রিকেটার আছেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা উইকেটে পেস পছন্দে করেন। এখন সেই গতি কমে আসবে। তাই ভরসা অনেক বেশি ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) টস জিতে বন্ধু রাহুলের দলকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠান পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগারওয়াল। একের পর এক ম্যাচ চলছে তিনটি মাঠে। তাই পিচ ক্রমশ গতি হারাচ্ছে। এদিন সেটা হারে হারে টের পেলেন লক্ষ্ণৌ ব্যাটাররা। তার সঙ্গে শুরুতেই ধাক্কা অধিনায়ক রাহুলের উইকেট। নিজের সাবেক দলের বিরুদ্ধে মাত্র ৬ রান এল রাহুলের ব্যাট থেকে। কিপার জিতেশের হাতে ধরা পরলেন রাবাদার বলে। তিন নম্বরে এলেন দীপক হুদা। তার ও ডি ককেক পার্টনারশিপে ভর করে একটু একটু করে এগিয়ে গেল লক্ষ্ণৌ। উইকেট না হারালেও রানের গতি বাড়তে পারছিলেন না তারা। ৮৫ রানের পার্টনারশিপ ভাঙল যখন ডি কক ৪৬ রানে। পরের ওভারেই দীপক হুদাও আউট। এরপর থেকে তাসের ঘরের মত ভেঙে পরল লক্ষ্ণৌ। ২০ ওভারে ১৫৩ রান বোর্ডে তুলল লোকেশ রাহুলরা। ৪ উইকেট নিলেন রাবাদাঁ। ২টি উইকেট রাহুল চাহারের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট চালাতে শুরু করেন মায়াঙ্ক। চাপ কাটাতে এটাই ছিল কৌশল পাঞ্জাবের। ১৭ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেললেন মায়াঙ্ক। কিন্তু এই একটা উইকেট হারাতেই পরপর উইকেট হারাল পঞ্জাব। ম্যাচ আবর চলে গেল লক্ষ্ণৌয়ের দিকে। ধাওয়ান, রাজাপক্ষে, লিভিংস্টোনরা একের পর এক ফিরলেন প্যাভেলিয়ানে। একা একদিকে হাল ধরে থাকলেন জনি বেয়াস্টো। কিন্তু চাপ সামলাতে পারলেন না। ১৬ ওভারের দ্বিতীয় বলেই আউট হলেন এই ইংলিশ কিপার। আর কেউ ছিলেন না পাঞ্জাবকে জয়ের বাউন্ডারি পার করানোর জন্য। তিনটি উইকেট নিলেন মহসিন খান। ২০ রানে ম্যাচ জিতে লক্ষ্ণৌ পৌঁছে গেল লিগ টেবিলের তিন নম্বরে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়েন্টস – ১৫৩/৮ (২০)
পাঞ্জাব কিংস – ১৩৩/৮ (২০)
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ