জার্মান টেনিস কিংবদন্তি বরিস বেকারকে শেষ পর্যন্ত কারাবাসের নির্দেশ দিলেন লন্ডনের আদালত।
সম্পত্তি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করা হয়।
বরিস দেউলিয়া ঘোষণা হওয়ার পর জানা গেছে যে, এই সম্পত্তি লুকানো ছিল। এই মাসের শুরুতে ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হন বরিস। প্রমাণিত হয় যে বরিস বেকার ২০১৭ সালে দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর তার সাবেক স্ত্রী বারবারা ও অপর স্ত্রী শার্লিকে টাকা ট্রান্সফার করেছেন।
বিচারক বরিস বেকারকে রায় শোনানোর সময় বলেন, “আপনি নিজের দোষ স্বীকার করেননি এবং অনুতপ্তও নন।”
পরে বিচারক বরিস বেকারকে আড়াই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
ছয়বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী বরিস বেকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, নিজের সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেন বরিস। তার আগে কয়েক লাখ পাউন্ড ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। পরে জানা যায়, গোপনে নিজের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে পাউন্ড পাঠিয়েছেন বরিস।
বরিস বেকার মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন। তিনি তিনটি উইম্বলডন, দুটি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও একটি যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জিতেছেন। বরিস তার সময়ে পুরুষদের ব়্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ স্থানাধিকারী ছিলেন। সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, ডেইলি মেইল
বিডি প্রতিদিন/কালাম