চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার পথে অনেকটাই প্রস্তুত হাসান মাহমুদ। পুনবার্সনের একদম শেষ পর্যায়ে এখন তিনি। বোলিং রান আপে ছুটতেও শুরু করেছেন, তবে এখনও বল হাতে নেননি। কয়েকদিন পর থেকে পুরো দমে বোলিং শুরু করবেন। সব ঠিকঠাক থাকলে শতভাগ ফিট হয়েই দুবাইয়ের ক্যাম্পে যাবেন বাংলাদেশের তরুণ এই পেসার।
গত ২০ অগাস্ট অনুশীলনে গোঁড়ালিতে চোট পান হাসান। সেই চোট তাকে ছিটকে দেয় এশিয়া কাপ থেকে। তবে আগামী মাসে নিউ জিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ স্কোয়াডে রাখা হয়েছে তাকে। দলে ফিরলেও এখনও বোলিংয়ে ফেরেননি। কিছুটা শঙ্কার জায়গা তাই থাকেই। তবে তার পুনবার্সন প্রক্রিয়ায় নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত বিসিবির ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম জানালেন, হাসানকে নিয়ে উৎকণ্ঠার কিছু আপাতত নেই।
তিনি আরও বলেন, এমনিতে ওর সবকিছুই ঠিক আছে। ব্যথা বা অস্বস্তি কিছু নেই। চোট পুরো সেরে গেছে। বোলিংয়ের রান আপে ছুটোছুটি করা, অন্য সবই কয়েকদিন ধরে করে আসছে ও। সব কাজই কমপ্লিট করে রাখছি। ওর রিদম ও অন্যান্য সবকিছু দেখে রাখছি। ২১ সেপ্টেম্বর মাত্র বলটা হাতে দেব। বল নিয়ে ছুটবে।
চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পর স্কিল অনুশীলনে সাধারণত ধীরে ধীরে প্রতিটি ধাপ ধরে এগোতে হয়। বিশেষ করে পেস বোলারদের নিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়। তবে হাসানের ক্ষেত্রে আগেই বাড়তি সময় নেওয়ায় শুরু থেকেই তিনি পুরো দমে বল করবেন বলে জানালেন বায়েজিদ।
তিনি বলেন, ২১ তারিখ থেকে পুরোপুরি শতভাগ দিয়েই বল করতে পারবে। চাইলে এখনই বোলিং করানো যেত। তবে খেলা নেই এবং তাড়া নেই বলে আমরা চাপ দিচ্ছি না। আস্তে আস্তে আরও তৈরি হয়েই একবারে বল করুক। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ম্যাচ ফিট হয়েই দুবাই যেতে পারবে সে।
ছোট্ট ক্যারিয়ারেই চোটের সঙ্গে বেশ সখ্য হয়েছে হাসানের। জাতীয় দলে আসার আগে থেকেই চোট তার সঙ্গী হয়ে আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পরও কয়েক দফায় তার ছন্দপতন হলো চোটের কারণে। এবার এই চোটে পড়ার আগে বেশ ভালো বোলিং করছিলেন তিনি। গত মাসে জিম্বাবুয়ে সফরে দুটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টিতে নজর কাড়েন গতি, নিয়ন্ত্রণ, সুইংয়ের পাশাপাশি বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করে।
বিদি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ