দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে একাই লড়ে গেলেন মুমিনুল হক। তার ৮৪ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২২৭ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা।
গত জুনে নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান মুমিনুল হক। সে মাসেই রান-খরায় থাকা মুমিনুল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়া টেস্টের দল থেকে বাদ পড়েন। এরপর মুমিনুল জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলেছেন। ‘এ’ দলের হয়ে ভারত সফরে গিয়েছেন। খেলেছেন ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষেও। কিন্তু কোথাও বড় রানের দেখা পাননি। মুমিনুলকে তাই ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টেও দলে রাখা হয়নি।
তবে মিরপুর টেস্টে ফিরেই রানের দেখা পেয়েছেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে মুমিনুলের ব্যাট থেকে এল ৮৪ রানের ঝলমলে ইনিংস। ১৫৪ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ১২টি চার ও একটি ছয়ে সাজানো। তবে স্বস্তির এই ফিফটির জন্য মুমিনুলকে ১২ ইনিংস অপেক্ষা করতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শুরুতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলনেতা সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন দুই ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত ও জাকির হোসেন। ওপেনিং জুটিতে আসে ৩৯ রান। ১৫ রানে জাকির ও ২৪ রানে শান্ত আউট হন।
ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি দলনেতা সাকিব আল হাসানও। আউট হওয়ার আগে করেন ১৬। জয়দেব উনাদকাটের বলে কটবিহাইন্ড হওয়ার আগে ২৬ রান করেছেন উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ২৬ বলে ২৫ রান করেন লিটন কুমার দাস।
এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোর বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন মুমিনুল। কিন্তু বেশিক্ষণ মুমিনুলকে সঙ্গ দিতে পারেননি মিরাজ। ভারতীয় পেসার উমেশ যাদবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে একে একে ফিরে যান মিরাজ-সোহান-তাসকিন। ৫১ বলে ১৫ রানে মিরাজ, ১৩ বলে ৬ রানে সোহান ও ১৬ বলে ১ রান করে তাসকিন।
এদিকে ভারতীয় বোলারদের একই সামলেছেন মুমিনুল হক। অবশেষে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর ৮৪ রানে আউট হন তিনি। শূন্যরানে আউট খালেদ আহমেদ। আর ৪ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল ইসলাম।
ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি করে উইকেট নেন উমেশ যাদব ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এছাড়া দুটি উইকেট পেয়েছেন জয়দেব উনাদকাট।
বিডি প্রতিদিন/এমআই