১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৭:০২

রিয়ালের জয়ের রাতে বেনজেমার অনন্য কীর্তি

অনলাইন ডেস্ক

রিয়ালের জয়ের রাতে বেনজেমার অনন্য কীর্তি

সংগৃহীত ছবি

শুরুতেই গোলের আনন্দে মাতলেন মার্কো আসেনসিও। দুই পেনাল্টির সুযোগ কাজে লাগালেন করিম বেনজেমা। প্রথমার্ধে চালকের আসনে বসা রিয়াল মাদ্রিদ ছুটল পরেও। লিগ টেবিলে অবনমন অঞ্চলে ঘুরপাক খাওয়া এলচের বিপক্ষে তুলে নিল বড় জয়।

সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে লা লিগার ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছে রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের চতুর্থ গোলটি করেন লুকা মদ্রিচ। এই ম্যাচের আগে বার্সেলোনার সঙ্গে ১১ পয়েন্টের ব্যবধানে ‘সমস্যা’ না দেখার কথা বলেছিলেন রিয়াল কোচ। অনায়াস জয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ব্যবধান কমাল তার দল। ২১ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা; ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল।

লিগে আগের রাউন্ডে মায়োর্কার মাঠে হেরেছিল রিয়াল। সেই ধাক্কা সামলে মাঝে আল হিলালকে হারিয়ে তারা জেতে ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ। এলচে ম্যাচ শুরুর আগে প্রিয় সমর্থকদের সঙ্গে সেই শিরোপা উদযাপনও সেরে নেয় বেনজেমারা। পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল এলচের বিপক্ষে তাদের শুরুটাও হয় প্রত্যাশিত গোলের আনন্দে।

চতুর্থ মিনিটে রদ্রিগোর ছোট পাসে বেনজেমার ব্যাক হিলের প্রচেষ্টা ঠিকঠাক হয়নি। এরপর এদের মিলিতাওয়ের দূরপাল্লার শট যায় বাইরে। এর চার মিনিট পরই কারভাহালের পাস ধরে পায়ের কারিকুরিতে দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে রিয়ালকে এগিয়ে নেন আসেনসিও। বক্সে বেশ তৎপর থাকলেও বেনজেমা কার্যকরী হয়ে উঠতে পারছিলেন না। দ্বাদশ মিনিটে দূরূহ কোণ থেকে ফরাসি ফরোয়ার্ডের কাছের পোস্টে নেওয়া শট আটকান গোলরক্ষক। তিন মিনিটে পর রদ্রিগোর একটু ঝুলিয়ে দেওয়া পাসে তার ডাইভিং হেড অল্পের জন্য যায় বাইরে।

৩১তম মিনিটে বেনজেমার হেডে বল রোকোর হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণের পাশাপাশি দারুণ এক প্রাপ্তির উপলক্ষ পেয়ে যান ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। রিয়াল কিংবদন্তি রাউল গনসালেসকে (৫৫০ ম্যাচে ২২৮ গোল) পেছনে ফেলে লা লিগায় রিয়ালের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে বসলেন বেনজেমা; ৪২৮ ম্যাচে ২২৯ গোল তার। ২৯২ ম্যাচে ৩১১ গোল নিয়ে এ পাতায় শীর্ষে মাদ্রিদের দলটিতে আলো ঝলমলে সময় কাটানো পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডজ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া রদ্রিগো বক্সে গনসালেসের পায়ে লেগে পড়ে গেলে আবার পেনাল্টি পায় রিয়াল। বলের লাইনে ঝাঁপিয়েও বেনজেমার শট আটকাতে পারেননি এলচে গোলরক্ষক। ম্যাচের লাগাম মুঠোয় নিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল।

প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও রদ্রিগো বারবার হানা দিচ্ছিলেন এলচের রক্ষণে। ৫২তম মিনিটে তার বাঁ পায়ের শট ঠেকান গোলরক্ষক। এরপর বেনজেমার দুর্বল প্রচেষ্টা খুঁজে পায়নি ঠিকানা। ৬১তম মিনিটে পাসিং ফুটবলের পসরা মেলে গোছাল আক্রমণ শাণিয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি রিয়াল। বেনজেমার শট যায় পোস্টের বেশ বাইরে দিয়ে। একটু পর একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন আনেন আনচেলত্তি। দানি সেবাইয়োস, ফেদে ভালভেরদে ও দানি কারভাহালকে তুলে লুকা মদ্রিচ, অহেলিয়া চুয়ামেনি ও আরভারো অদ্রিওসোলাকে নামান তিনি।

৮১তম মিনিটে দারুণ কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করে চলতি লিগে রিয়ালের পঞ্চদশ জয় নিশ্চিত করে দেন মদ্রিচ। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে আরিবাসের শট এক ডিফেন্ডার কোনোমতে পা দিয়ে আটকালে ব্যবধান বাড়েনি।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর