বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাঁশি বাজাচ্ছেন বাংলাদেশের ফিফা রেফারি মো. আলমগীর সরকার। ফিফা সহকারী রেফারি নুরুজ্জামান তার সঙ্গী। এরই মধ্যে দু’জন চারটি করে ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন। সামনের ম্যাচেও দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা করছেন। এবারের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে কঠিন ম্যাচে বাঁশি বাজিয়েছেন দু’জন। ভারত-কুয়েত ম্যাচটা পরিচালনা করতে বেশ পরিশ্রমই করতে হয়েছে আলমগীরকে।
ভারতীয় কোচ ইগর স্টিমাচ ম্যাচ অফিশিয়ালের দিকে তেড়েফুঁড়ে যাচ্ছিলেন। কোনোভাবেই তাকে শান্ত করতে না পেলে লাল কার্ড তুলে দেন বাংলাদেশের ফিফা রেফারি মো. আলমগীর সরকার। ভারতের বেঙ্গালুরু শহরে চলমান বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে কঠিন ম্যাচটা পরিচালনা করেছেন তিনি। এ গ্রুপের লড়াইয়ে মঙ্গলবার মুখোমুখি হয় ভারত-কুয়েত। ম্যাচটা শেষ হয় ১-১ গোলের ড্র নিয়ে। কোনো দলই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি। ফুটবলীয় লড়াইয়ের পাশাপাশি ম্যাচে ছিল শারীরিক শক্তির পরীক্ষাও। একে-অপরের দিকে যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে গেছেন ফুটবলাররা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনটা লাল কার্ড দেখাতে হয়েছে আলমগীরকে। কোচ ছাড়াও দুই দলের একজন করে ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখান তিনি।
কেবল ভারত-কুয়েত ম্যাচই নয়, মো. আলমগীর সরকার চলমান টুর্নামেন্টে কুয়েত-নেপাল ম্যাচেও বাঁশি বাজিয়েছেন। এছাড়া দু’টি ম্যাচে অফিশিয়াল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশের ফিফা সহকারী রেফারি মো. নুরুজ্জামান বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের চারটি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে দুইজনেই বিভিন্ন টুর্নামেন্টে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। তবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এবারেই প্রথম।
আলমগীর বলেন, ‘এবারের টুর্নামেন্টে অঘোষিত ফাইনাল ছিল ভারত-কুয়েত ম্যাচটি। দারুণ একটি ফুটবল ম্যাচ হয়েছে। আমাকে বেশ কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছে।’ বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সামনে আরও ম্যাচ পরিচালনা করবেন বলে আশা করেন বাংলাদেশের দুই রেফারিই।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ