চলতি বিপিএলে বেশ কয়েকবার মাঠে বিতর্কে জড়াতে দেখা গেছে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। সর্বশেষ নিজ দলেরই সতীর্থ ডাভিড মালানের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা গেছে। তবে তামিম বলছেন, ঘটনা আসলে ভিন্ন, বরং তাদের মধ্যে নাকি কিছুই হয়নি।
সোমবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ দাবি করেছেন তামিম ইকবাল।
ফেসবুক পোস্টে তামিম লিখেছেন, ‘অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, মাঠে ডাভিড মালানের সঙ্গে কিছু হয়েছিল কিনা। এটা নিয়ে নাকি অনেক আলোচনা হচ্ছে। অথচ আমার সঙ্গে মালানের কিছুই হয়নি। মালান তো ওভাবে জবাব দিচ্ছিল প্রতিপক্ষের একজনকে!
মাঠে দুই ব্যাটসম্যানের ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাশা প্রকাশ করাও স্বাভাবিক। আমি রান আউট হওয়ার পরই মালান হাতের ইশারায় ‘সরি’ বলেছে। আমি সেদিকে তাকিয়ে মাঠের বাইরে চলে যাই। তার সঙ্গে কোনো কথাই হয়নি। কাছেই থাকা প্রতিপক্ষের একজন ফিল্ডার তখন মালানকে একটা কথা বলেছে, যা তার ভালো লাগেনি। মালান সেই ফিল্ডারকেই জবাব দিচ্ছিল, তার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল। অথচ সেটাকেই অনেকে বানিয়ে ফেলেছে, আমার সঙ্গে নাকি মালানের ঝামেলা হয়েছে!
এরকম অনেক সময়ই অনেকে টিভিতে দু-একটি দৃশ্য দেখে নানা রকম ধারণা করে ফেলেন। গত কয়েক দিনে আমাকে নিয়েও এরকম হয়েছে। কিন্তু কোনো ঘটনা তো হুট করে হয় না। এটার পেছনেও অনেক ঘটনা থাকে। মাঠে এরকম অনেক কিছুই হয়, যা টিভিতে পুরোপুরি ফুটে ওঠে না এবং সেটা উচিতও নয়। কিন্তু টিভিতে দু-একটি দৃশ্য দেখেই চূড়ান্ত ধারণা নেওয়া উচিত নয়। যাদের নিয়ে ঘটনা, যারা মাঠে থাকেন, তারা সবকিছু জানেন। আজকের উদাহরণ দিয়েই আবার বলছি, টিভিতে এক-দুই ঝলক দেখেই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া উচিত নয়।’
প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ম্যাচেও মেজাজ হারাতে দেখা যায় তামিমকে। সতীর্থ ডাভিড মালানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় তাঁকে কিছু একটা বলতে শোনা যায়। এই ঘটনা আবার তাঁকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে।
ঘটনাটি বরিশাল ইনিংসের চতুর্থ ওভারের। আলিস ইসলামের অফ সাইডের বাইরে ছুড়ে দেওয়া বল এক্সট্রা কভারে মারেন মালান। সেখানে থাকা উসমান খান প্রথম চেষ্টায় বল ধরতে ব্যর্থ হলে দৌড় শুরু করেন তামিম। কিন্তু দ্রুত নিজেকে সামলে বল ধরে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছুড়ে দেন মালান। ততক্ষণে অর্ধেক পিচ পেরিয়ে ফেরার চেষ্টায় ছিলেন তামিম। কিন্তু তিনি ক্রিজে পৌঁছানোর আগেই সেখানে থাকা বোলার আলিস নিজেই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন।
রানআউটের ঘটনায় বেশ হতাশা প্রকাশ করেন তামিম। হাত তুলে মালানের কাছে দৌড় না দেওয়ার কারণ জানতে চান তিনি। মাঠ ছাড়ার সময় রাগে গজরাতে দেখা যায় তাকে। বিষয়টি টেলিভিশনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। মালান নিজেও হতাশা প্রকাশ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত