চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে 'পাকিস্তান শাহিনস' এর বিপক্ষে ৭০ বল বাকী থাকতে ২০২ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকারের ব্যাটে দারুণ শুরু পেয়েছিল টাইগাররা। সেটা ধরে রেখে ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজও। তবে তার বিদায়ের পরই ধস নামে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপে। পাকিস্তান 'এ' দলের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি মুশফিকুর রহিম-জাকের আলির মতো ব্যাটাররা।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৮.২ ওভারে ২০২ রানে অলআউট হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
দুবাইয়ের স্পোর্টিং উইকেটে বাংলাদেশের কয়েকজন ব্যাটার ভালো শুরু পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান এসেছে সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে।
বিপিএলের সর্বশেষ আসরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তানজিদ তামিম আজ ৬ রানের বেশি করতে পারেননি। ইনিংসের প্রথম ২ বলে ৬ রান তোলা এই ব্যাটার ফেরেন প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শান্ত। তামিমের পথেই হেঁটেছেন অধিনায়ক।
টপ অর্ডারে তামিম-শান্ত তেমন রানের দেখা না পেলেও ভালো শুরু পেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। তবে ইনিংস বড় করতে না পারার সমস্যাটাই আরও একবার পোড়ালো তাকে। ৪ চারে ৩৫ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি।
সৌম্যের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। চতুর্থ উইকেটে তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ১৯ রান করে হৃদয় বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম হাল ধরতে পারেননি দলের। দলীয় ১৩১ রানে তার বিদায়ের পর ভেঙে পড়ে মিডল অর্ডার।
৪৪ রান করা মিরাজকে উসামা যখন আউট করেন, তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩২ রান। ৫ রানের ব্যবধানে এরপর জাকের আলী ফিরলে বাংলাদেশের দেড়শ রানের মধ্যে গুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা যায়। তবে শেষদিকে তানজিম সাকিবের ২৭ বলে ৩০ এবং নাসুম আহমেদের ১৬ বলে ১৫ রানে ভর করে কোনোমতে ২০০ রান পেরোয় টাইগাররা।
পাকিস্তান শাহিনসের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন উসামা মীর। দুটি উইকেট নিয়েছেন মুবাশ্বির খান।
বিডি প্রতিদিন/মুসা