বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগে ফের অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শনিবার দুপুর একটার দিকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বোর্ড কার্যালয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিযান পরিচালনা করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদের নেতৃত্বে একটি দল।
এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল বিপিএলের টিকিট বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে বিসিবিতে অভিযান চালিয়েছিল দুদক।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে রাজু আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, অভিযানের বিষয় ছিল তৃতীয় বিভাগের বাছাইপ্রক্রিয়া, নতুন গঠনতন্ত্র এবং অন্যান্য বিভিন্ন আর্থিক অভিযোগ নিয়ে আমরা এখানে আসছি। সেই অভিযোগের আলোকে আমরা নথিপত্র সংগ্রহ করে সকাল থেকে সেগুলো পর্যালোচনা করলাম। আমরা সবার সঙ্গে কথা বললাম। আমরা সব কাজ এখনও শেষ করতে পারিনি। কিছু কাজ এখনও বাকি আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন, তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের যে বাছাই প্রক্রিয়া সেটা একসময় ছিল বেশ সহজ প্রক্রিয়া। কিন্তু পরবর্তীতে ২০২২ সালের পর কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়, সেখানে ২-৩টার বেশি দল অংশগ্রহণ করতে পারে না। সেক্ষেত্রে এটা অনেক কম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়ে যাচ্ছে। তাতে আমাদের জাতীয় দলের জন্য ভালো খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইনটা খুবই সীমিত হয়ে যায়। এই বিষয়টাকেই ফোকাস করেছি আমরা।’
বিসিবির পরিচালনা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হওয়ার কথা থাকলেও, বাস্তব চিত্রে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে বলে মনে করছে দুদক। রাজু বলেন, আমরা দেখেছি, বিসিবিতে সঠিক চাকরি বিধিমালা নেই। একটি সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠানের যেমন কাঠামো থাকা দরকার, তা এখানে অনুপস্থিত।
গঠনতন্ত্রের বৈধতা ও কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও এটি একটি আদালতের রায়ের ভিত্তিতে সংশোধিত হয়েছে, তবুও কার্যক্রমের ধরনে কিছু অসামঞ্জস্য তারা পরিলক্ষিত করেছেন। অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায় না দুদক।
রাজু আহমেদ বলেন, আমরা সব নথি সংগ্রহ করেছি। সবদিক যাচাই করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রস্তুত করব। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই