কার্টিস ক্যাম্ফার বল হাতে দেখালেন জাদু। আইরিশ পেসারের ডাবল হ্যাটট্রিকে ১০৬ রানেই আটকে যায় নেদারল্যান্ডস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে করতে নেমে সহজেই গন্তব্যে পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আইরিশরা।
নেদারল্যান্ডসের দেয়া ১০৭ রান তাড়া করতে নেমে ১৫.১ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছায় আয়ারল্যান্ড। ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করে দলটি। দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। আইরিশ ওপেনার কেভিন ও’ব্রায়েনকে ৯ রানে সাজঘরে ফেরান ব্র্যান্ডন গ্লোভার।
পাওয়ার প্লে’র প্রথম ৬ ওভারে ২ উইকেটে তোলে মাত্র ২৫ রান। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় নেদারল্যান্ডস। ম্যাক্স ও’দাউদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটের কবলে পড়েন বেন কুপার। ১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ডাচরা।
পঞ্চম ওভারে আবারও বিপদে পড়ে নেদারল্যান্ডস। এবার অদূরদর্শী এক শট খেলতে গিয়ে পেছনের স্ট্যাম্প উম্মুক্ত করে দেন বেস ডি লিডে (১১ বলে ৭)। জশ লিটলের দারুণ ডেলিভারি ওপড়ে দেয় স্ট্যাম্প।
২২ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে এরপর টেনে তোলার চেষ্টা করেছেন ও’দাউদ আর কলিন একারম্যান। তবে তাদের ২৮ বলে ২৯ রানের জুটিটা ঠিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না।
দশম ওভারে এসে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে বসেন কার্টিস ক্যাম্পার। আইরিশ পেসারের লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বল পুল করতে গিয়ে ব্যাটে হালকা ছোঁয়া লেগে যায় অ্যাকারম্যানের। আম্পায়ার যদিও আউট দেননি শুরুতে। রিভিউ নিয়ে জিতে যায় আইরিশরা।
পরের বলে ক্যামফার এলবিডব্লিউয়ে সাজঘরে ফেরান রায়ান টেন ডেসকাটেকে। চতুর্থ বলে একই পরিণতি স্কট এডওয়ার্ডসের। এবারও আম্পায়ার নাকচ করে দিয়েছিলেন। রিভিউ নিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ক্যামফার।
এখানেই থামেননি। ওভারের পঞ্চম বলে ক্যাম্ফার বোল্ড করেন রিওলফ ভ্যান ডার মারউইকে। এতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ডাবল হ্যাটট্রিকের ইতিহাসও গড়া হয়ে গেছে আইরিশ পেসারের।
২ উইকেটে ৫১ থেকে ৬ উইকেটে ৫১, সেই ধাক্কা সামলে আর বড় স্কোর গড়তে পারেনি আয়ারল্যান্ড। একটা প্রান্ত ধরে লড়ে গেছেন ও’দাউদ।
৪৪ বলে ফিফটি ছোঁয়া এই ব্যাটারকে ১৭তম ওভারে আউট করেছেন মার্ক অ্যাডায়ার। ৪৭ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ও’দাউদ তখন ৫১ রানে।
আইরিশ বোলারদের মধ্যে স্বভাবতই সবচেয়ে সফল ডাবল হ্যাটট্রিক করা ক্যাম্ফার। ২৬ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন এই পেসার। আইরিশদের হয়ে ৩ উইকেট দখল করেন মার্ক অ্যাডায়ার।
টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে দুই দলের সম্মুখ লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে ডাচরা। ১২ ম্যাচের সাক্ষাতে নেদারল্যান্ডস জয় পেয়েছে সাত ম্যাচে আর আইরিশরা জিতেছে চারটিতে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
