‘ইনভিজিবল ক্লোক’ বা অদৃশ্য হওয়ার আলখাল্লার আত্মপ্রকাশে আর বেশি দেরি নেই! আর অদৃশ্য আলখাল্লার কথা বললেই সবার আগে যা মনে পড়ে তা হল হ্যারি পটারের সেই আশ্চর্য আলখাল্লা। যা পরে নিমেষের মধ্যে গায়েব হয়ে যেতেন হ্যারি।
এবার এমনই পোশাক তৈরি করার কাজে মেতে উঠেছেন লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ‘ন্যানো সাইজ পার্টিকাল’ দিয়ে তৈরি এই পোশাকের নাম ‘ইনভিজিবল ক্লোক’ হলেও তার সঙ্গে হ্যারি পটারের আশ্চর্য আলখাল্লান কোন মিল নেই। আধুনিক বৈজ্ঞানিক উপায়ে তৈরি এই আলখাল্লায় ব্যবহার করা হচ্ছে নানা ধরনের ছোট-বড় অ্যান্টেনা। গবেষকদের বক্তব্য, নয়া এই পোশাক ব্যবহার করে যে কোন পৃষ্ঠতলকেই সমতল ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক তরঙ্গবিশিষ্ট প্ল্যাটফর্মে উপনীত করা যাবে। এর মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বৈজ্ঞানিকরা। এই ক্লোক-কে ‘পোশাক’ বলা হলেও তা মোটেও মানুষের পরার জন্য নয়, বরং বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হবে।
‘ট্রান্সফরমেশন অপটিকস’ নীতির উপর ভিত্তি করে চলছে নয়া পোশাক তৈরির কাজ। গতবার গবেষকরা বহু চেষ্টায় এই পোশাক প্রায় তৈরি করে ফেললেও সেটি কেবল একটি নির্দিষ্ট ‘ফ্রিকোয়েন্সি’-তেই কাজ করছিল। নয়া পোশাক যাতে একাধিক ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে, সেই চেষ্টাই চালাচ্ছেন গবেষকরা। এই ক্লোকটি যদি ঠিকভাবে তৈরি হয়ে যায়, তবে খুব সহজেই যে কোন অপটিকাল মাইক্রোওয়েভকে যে কোন ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক সারফেস থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ফিল্ডের পৃষ্ঠতল পরিবর্তন করে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো সম্ভব হলে দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির আরও সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন গবেষক লুইগি লা স্পাডা।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিডি-প্রতিদিন/১৮ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব