ছোট খাটো মেসেজ আদান-প্রদানের অ্যাপ্লিকেশন হল হোয়াটসঅ্যাপ। ২০১৪ সালে এটি কিনতে ফেসবুক খরচ করেছিল ১ হাজার ৯’শ কোটি ডলার। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারকে টেক্কা দিয়ে মেসেজ আদান প্রদানে এখন এক নম্বরে রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। আর এই অ্যাপ সংশ্লিষ্ট এমন কিছু তথ্য আছে যা সাধারণভাবে প্রচলিত নয়। তেমন কিছু তথ্য আপনাদের জানান হচ্ছে-
১. গত বছরের মার্চ মাসে হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণে ডাউনলোডের সংখ্যা ১০০ কোটির ঘর পেরিয়ে গেছে। এ সময় হোয়াটসঅ্যাপের কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র পাঁচজন! হোয়াটসঅ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জ্যান কোউম এক পোস্টে নিজেই এই তথ্য জানিয়েছিলেন।
২. হোয়াটসঅ্যাপের দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যান কোউম ও ব্রায়ান অ্যাকটন-এই দুজনই আগে ইয়াহুতে কাজ করতেন। তবে হোয়াটসঅ্যাপে পুরোদমে কাজ শুরু করার আগে, তারা ফেসবুক ও টুইটারে কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই দুই প্রতিষ্ঠানই তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল।
৩. ছবি ও ভিডিও ফাইলের আকার ছোট করে আনার কাজে সহজেই ব্যবহার করা যায় হোয়াটসঅ্যাপ। এ কাজে অন্য যে কোনো এডিটিং অ্যাপ্লিকেশনও ব্যবহার করা যায়। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সেটি যত সহজে আরেক বন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া যায়, অন্যগুলোর ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না। এটিই হোয়াটসঅ্যাপের অনন্য সুবিধা। এ ছাড়া কম্প্রেস করা ছবি বা ভিডিও নিজের ফোনে সংরক্ষণ করে জায়গাও বাঁচানো যায়।
৪. হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তা পাঠিয়ে দিলে তা বন্ধুর কাছে পৌঁছেছে কি না, সেটি জানিয়ে দেয়। এই সুবিধা অন্যান্য ম্যাসেজিং অ্যাপেও আছে। তবে সেই বার্তা বন্ধুটি কখন পড়ছেন সেটিও জানায় হোয়াটসঅ্যাপ। একটি নির্দিষ্ট বার্তার ওপর কিছুক্ষণ আঙুল চেপে রাখলে যেসব অপশন আসে সেগুলো থেকে ‘ইনফো’ অপশনটি বেছে নিলেই এ তথ্য জানা যাবে।
৫. ওপেন হুইসপার সিস্টেমে তৈরি করা আছে হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্য দিয়ে আদান-প্রদান করা সব মেসেজ এন্ড-টু-এন্ড পদ্ধতিতে এনক্রিপ্ট করা। এ পদ্ধতিতে হ্যাকাররা ইউজারদের গোপনীয়তায় সহজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ফলে ইউজারদের তথ্য থাকে সুরক্ষিত। এ কারণেই বিশ্বব্যাপী মেসেজ আদান-প্রদানের অ্যাপ হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা এত বেশি।
বিডি প্রতিদিন/১৮ জুলাই ২০১৬/হিমেল-২২