সারা দিন হোয়াটসঅ্যাপে বা সামাজিকমাধ্যমে আপনি যে ইমোজি দিয়ে শব্দ কমিয়ে ইমোশন বাড়ান, সেই ইমোজির আসল মানে এবং কেন এটি হলুদ রঙের হয়, এসব বিষয়ে জানতে ইমোজির আদ্যোপান্ত সম্পর্কে জেনে নিন। ১৯৯৯ সালে প্রথম তৈরি করা হয়েছিল ইমোজি। যদিও এ নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকেই দাবি করেন ১৯৯৭ সালে প্রথম ইমোজি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু জাপানি শিল্পী শিগোতাকা কুরিতা ১৯৯৯ সালে জাপানি নকশায় প্রথম ইমোজি নিয়ে কাজ করেন। তিনি তখন ১৭৬টি ক্ষুদ্রাকার ছবি এঁকেছিলেন, যা মাত্র তিন কিলোবাইট জায়গা নিয়েছিল। এ ছবিগুলোতে প্রকাশ পেয়েছিল নানা অনুভূতি। জাপানি টেলিকম প্রতিষ্ঠান এনটিটি ডোকোমোর জন্য কাজটি করেছিলেন ইমোজির জনক শিগোতাকা কুরিতা। ইমোজি শব্দটি এসেছে জাপানি শব্দ ‘ই’ (ছবি) এবং ‘মোজি’ (অক্ষর) থেকে। এর আক্ষরিক অর্থ হলো চিত্রলিপি। এখান থেকেই ইংরেজি সমার্থক শব্দ Emotion Ges Emoticon সৃষ্ট হয়েছে। ইমোজির রং নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো গবেষণা করা হয়নি। তবে অনেকের মতে ইমোজির রং ব্যক্তির ত্বকের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে যাতে বর্ণবাদ নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না। আবার কিছু মানুষ বিশ্বাস করে হলুদ রং সুখের প্রতীক, তাই এ রঙের সাহায্যে সহজেই আবেগকে প্রকাশ করা যায়। তাই ইমোজির রং হলুদ। শব্দ ছাড়া অনুভূতি প্রকাশ করতে ইমোজি ব্যবহার করা হয় তাই এটি এত জনপ্রিয়। এ স্মাইলিগুলো খুব সহজেই সারা দিনের সব অনুভূতি-আবেগ প্রকাশ করতে ব্যবহার করা হয়। ইমোজি দ্বারা শব্দহীনভাবে অনুভূতি প্রকাশ করা যায় বলেই এটি মানুষের মধ্যে এত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইমোজি হলো লাফিং/ক্রায়িং ইমোজি। এটি টিয়ারস অব জয় নামেও পরিচিত। এ ছাড়া স্মাইলিং ফেস উইথ হার্ট, রেড হার্ট, গ্রিনিং ফেস, স্মাইলিং ফেস উইথ সানগ্লাসেস, পার্টি পপার, থামস আপ ইমোজিগুলোও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভীষণ জনপ্রিয়।