শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০২০ আপডেট:

কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি গণমাধ্যম

পীর হাবিবুর রহমান, নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
প্রিন্ট ভার্সন
কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি গণমাধ্যম

সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলার লড়াইয়ে গণমাধ্যম এখন কঠিন সময়ের মুখোমুখি। গণমাধ্যমে মেধাবী, পরিশ্রমী, দক্ষ সংবাদকর্মীদের আকাল চলছে...

 

সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমকে ফোর্থ স্টেট বলা হয়। অর্থাৎ রাষ্ট্র বা সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ হচ্ছে সংবাদপত্র। একুশ শতকের শক্তিশালী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রাতিষ্ঠানিক শক্তির ওপর দাঁড়ানো গণমাধ্যম আদৌ কি ফোর্থ স্টেট সেই প্রশ্ন শক্তিশালীভাবে উঠে এসেছে। আমরা সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম অর্থাৎ প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টালকে সমাজের আয়না বলে আসছি। সমাজের চিত্র কতটা নির্মোহ ও স্বচ্ছভাবে আয়নায় উঠে আসছে সেই প্রশ্ন থাকলেও এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে গণমাধ্যম চ্যালেঞ্জ নিয়েই নানান প্রতিকূলতার মধ্যে সেই কাজ করে যাচ্ছে। সমাজের চিত্র তুলে আনার লড়াইয়ে নিরন্তর সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সংবাদ এলেও গুজব ছড়ায় তার চেয়ে বেশি। আতঙ্ক ছড়াতেও কম নয়। বলা হয়, ঘোড়ার আগে দুঃসংবাদ ও গুজব ছুটে দ্রুতগতিতে। কিন্তু গণমাধ্যমে উঠে আসে সত্য। যে সত্য মানুষ বিশ্বাস করে। তাই গণমাধ্যমের সততা দায়িত্বশীলতা এবং জবাবদিহিতার জায়গা সর্বোচ্চ। সত্য হচ্ছে মানুষের সম্পদ। মানুষের জন্য লুকানো বা গোপন সেই সত্য উন্মোচন গণমাধ্যমের কাজ।

১৭৮৭ সালে ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সে সংসদীয় বিতর্কে এডমুন্ড ব্রুক প্রথমে ফোর্থ স্টেট শব্দটির ব্যবহার করেছিলেন। তৎকালীন ইউরোপীয় সমাজের তিনটি প্রধান স্তম্ভ ছিল অভিজাত শ্রেণি (ফার্স্ট স্টেট), ধর্মযাজক শ্রেণি (সেকেন্ড স্টেট) ও সাধারণ মানুষ (থার্ড স্টেট)। টমাস কার্লাইল তার ‘বুক অন হিরোস অ্যান্ড হিরো ওরশিপ’ বইয়ে লিখেছেন- ব্রুক সেদিন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, ‘এই সংসদে আজ তিনটি স্তম্ভের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। কিন্তু ওই যে গ্যালারিতে বসে আছেন সাংবাদিকরা, তারা এই সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। তারা কিন্তু এদের সবার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ।’  

সেই থেকে গণমাধ্যম বা সাংবাদিকদের ফোর্থ স্টেট বলার প্রচলন শুরু হয়েছে। এ কথাটি আপেক্ষিক ও তাত্ত্বিক হলেও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নৈতিক ভিত্তির ওপর শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছিল। সর্বশেষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবিস্মরণীয় বিজয়ের পর গণমাধ্যমের জন্য ফোর্থ স্টেট তকমাটি অসার ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠে। কারণ পশ্চিমা দুনিয়ার গণমাধ্যমই নয়, তাবৎ পৃথিবীর গণমাধ্যমের রিপোর্ট, মন্তব্য এমনকি জরিপ মিথ্যা প্রমাণ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হয়ে আসেন। গণমাধ্যম ট্রাম্পকে অযোগ্য, নোংরা মানসিকতার, ট্যাক্স ফাঁকিবাজ, জালিয়াত, অর্থদুর্বৃত্ত, নারীবিদ্বেষী, বর্ণবাদী, বিকৃত যৌনাচারী, এমন কোনো নেতিবাচক আক্রমণ নেই, যা করেনি। কিন্তু তবু ভোটাররা ট্রাম্পকেই পছন্দ করে বিজয়ী করেছেন। এতে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ফোর্থ স্টেটের জায়গায় গণমাধ্যম পরাস্ত হয়েছে। প্রমাণ হয়েছে, রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে গণমাধ্যম ব্যবহৃত হওয়ায় এডমন্ড ব্রুক যে ফোর্থ স্টেটের কথা বলেছিলেন, সেই জায়গা থেকে গণমাধ্যম সরে গিয়েছে। মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও মতামতকে ধারণে ব্যর্থ হয়েছে। জনমত গঠনেও পরাজিত হয়েছে।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করে কিছু প্রচার মাধ্যম তার পেছনে ভারতীয় ইন্ধন এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা বলে উল্লেখ করতে কুণ্ঠাবোধ করেনি। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিরুদ্ধে কিছু দৈনিক কোমর বেঁধে বিরূপ প্রচারণা চালালেও বিপরীতধর্মী ছিল দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সংবাদ। ১৯৫৪ সালে নুরুল আমীনের মালিকানা থেকে আহমেদুল কবীর কিনে সংবাদকে বিরোধীদলীয় ধারার সঙ্গে যুক্ত করেন। অন্যদিকে সাপ্তাহিক হিসেবে ইত্তেফাক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার সম্পাদনায় প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দৈনিকে রূপান্তরিত হয়েছিল। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি যুক্তিনির্ভর সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় প্রকাশ করে পূর্ব বাংলার জনগণের অনুভূতিতে নাড়া দিয়ে স্বাধিকার আন্দোলনকে গতিশীল করেছিল এ দুটি দৈনিক পত্রিকা। পাশাপাশি দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক জনপদ এবং আবিদুর রহমানের ইংরেজি দৈনিক পিপলসের ভূমিকাও বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের জন্য সহায়ক শক্তিতুল্য ছিল।

১৯৭১-এর ২৫ মার্চের গণহত্যার কালো রাতে দি পিপলস পত্রিকা অফিস হানাদার বাহিনী কর্তৃক পুড়িয়ে ফেলা এবং দৈনিক ইত্তেফাক ও সংবাদ অফিসে সেল নিক্ষেপের মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়ার পর অন্য সব পত্রিকা পাকিস্তানি শাসক মহলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশে বাধ্য হয়। তন্মধ্যে চরিত্রানুসারে দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক পয়গাম এবং ডেইলি পাকিস্তান অবজারভার মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী প্রচারণায় এগিয়ে ছিল।

ইত্তেফাক ও তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া স্বাধিকার স্বাধীনতার পথে বঙ্গবন্ধুর সব আন্দোলন-সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা রাখেন। মানিক মিয়া ছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার পরিকল্পনার একজন সহযোগী ও জনমত গঠনের শক্তি। ইত্তেফাক হয়েছিল বঙ্গবন্ধু ও তার দলের মুখপত্র এবং বাঙালির অধিকার আদায়ের বড় শক্তি। আইয়ুব খান তাকে তিন দফা জেল খাটায়। কারা নির্যাতন সয়ে একসময় ’৬৯ সালে মানিক মিয়া হৃদরোগে মারা যান। আবিদুর রহমান ’৭১ সালেই তাদের রোষানলে পড়েননি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনিরা তাকে আটক করে নির্যাতন করে জেলে দেয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর ঢাকা থেকে ১০টি দৈনিক প্রকাশিত হয়। তন্মধ্যে দৈনিক পাকিস্তান নাম পরিবর্তন করে হয় দৈনিক বাংলা এবং পাকিস্তান অবজারভার হয়ে যায় বাংলাদেশ অবজারভার। রাজনৈতিক সাংবাদিকতার ছদ্মাবরণে দৈনিক গণকণ্ঠ ও সাপ্তাহিক হক কথার ভূমিকা ছিল বিতর্কিত।

স্বাধীন দেশে উগ্র একদল রাজনৈতিক শক্তি ও গণমাধ্যম যেমন, গণকণ্ঠ ও সাপ্তাহিক হক কথা সেদিন সর্বনাশা খেলাই খেলেছে। এরা স্বাধীন বাংলাদেশে উদার গণতন্ত্রী মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে চরম সরকার ও মুজিব বিদ্বেষী উগ্র হঠকারী পথ নিয়ে মিথ্যা, অসত্য গুজবে ভাসাতে কার্পণ্য করেনি, তেমনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার-পরিজনসহ নৃশংস হত্যাকান্ডের পর সেই রক্তাক্ত ঘটনা তুলে ধরতে গণমাধ্যম নির্লজ্জভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সামরিক শাসন কবলিত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর যে অবর্ণনীয় নির্যাতন নেমে এসেছিল সেই চিত্র জনসম্মুখে তুলে ধরতে যেমন পারেনি, তেমনি কাপুরোষিত সুবিদাবাদী নীতি গ্রহণে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দৈনিকগুলোর ব্যর্থতার মুখে সাপ্তাহিকগুলো সেদিন পাঠকপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়।

আশির দশকে সামরিক শাসনবিরোধী রাজনৈতিক ও ব্যাপক ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল বিক্ষোভকালে মেধাবী তারুণ্যনির্ভর সাহসী সংবাদকর্মীদের হাত ধরে গণমাধ্যম গণতন্ত্রের আলোর পথে ঘুরে দাঁড়ায়। গণমানুষের আকাক্সক্ষাকে লালন করে ঝড়-ঝাপটা, দমন-পীড়নের মুখেও অকুতোভয় সাহস এবং ঔদ্ধত্য দেখাতে পিছপা হয়নি। বিবিসিখ্যাত আতাউস সামাদ, যায়যায়দিনের শফিক রেহমান, মতিউর রহমান চৌধুরী, অকাল প্রয়াত মিনার মাহমুদের মতো অসংখ্য সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হন, গণমাধ্যম ও সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীরা গণতন্ত্রের পথ থেকে গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষার ধারা থেকে সরে দাঁড়াননি। নব্বইয়ের গণতন্ত্রের বিজয়ের পর তত্ত্বাবধায়ক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ সংবাদপত্র বন্ধে কালো আইনটি যেমন বাতিল করে দেন, তেমনি গণতন্ত্রের নবযাত্রায় সংবাদপত্র প্রকাশের দুয়ার উদারভাবে খুলে দেওয়া হয়। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে এদেশে ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জগৎ অবারিত হয়।

বাংলাদেশে একুশ শতকের গণমাধ্যম এখন আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এবং শক্তিশালী। শিল্পপতিরা গণমাধ্যমে বিনিয়োগে এগিয়ে আসায় এটি শিল্পের মর্যাদা লাভ করেছে। গণমাধ্যম কর্মীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। ওয়েজবোর্ড অনুসরণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান তাঁর মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস, স্বপ্ন ও আগ্রাসী বিনিয়োগের সমন্বয়ে আজকে গড়ে তুলেছেন দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ মিডিয়া গ্রুপ ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া। যেখান থেকে দেশের সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন স্বল্পমূল্যে সব শ্রেণি-পেশার পাঠকের জন্য তুলে দিয়েছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিন ছাড়াও এখান থেকে মোটা কলেবরের আরেকটি বাংলা দৈনিক কালের কণ্ঠ প্রকাশিত হয়ে আসছে। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সান ছাড়াও সংবাদনির্ভর টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টিফোর দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। ক্যাপিটাল নামের বেতারটি শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেছে। বাংলানিউজ  টোয়েন্টিফোর অনলাইন পোর্টালটি পাঠক মন জয় করেছে। তিতাস নামের আরেকটি খেলার খবরভিত্তিক টেলিভিশন মাইলফলক গড়তে যাচ্ছে। তথ্যমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় সংসদে বারবার সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিদিনের নাম আসাটাই বড় সার্থকতা নয়। এককালে দৈনিক ইত্তেফাক যেমন অফিসে বাড়িতে, পথে-ঘাটে, স্যালুনে, মুদি দোকানে শোভা পেত, সেখানে আজ বাংলাদেশ প্রতিদিন আরও দাপুটে চেহারায় নিজের শোভাবর্ধন করে টিকে আছে। সুমহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনা ও গভীর দেশপ্রেম প্রশ্নে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া তার নীতিতে অবিচল। আর এ নীতি থেকে বাংলাদেশ প্রতিদিন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনা নিয়ে সব খবর সবার আগে এবং সব মত-পথ ধারণ করার মধ্য দিয়েই পাঠক নন্দিত হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, তাঁর সব শিল্প গোষ্ঠীর কর্মীর মতো গণমাধ্যম কর্মীদেরও বিশাল আশ্রয়স্থল। যা চিন্তাই করা যায় না।

দীর্ঘদিনের পেশাগত জীবনের অভিজ্ঞতায় আজকের বাংলাদেশের গণমাধ্যমের চেহারার দিকে তাকালে বলতেই হয়, নেতিবাচক খবরের পাশাপাশি ইতিবাচক খবর গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে উঠে এলেও মিডিয়ার সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষা লালন এবং পাঠক ও দর্শক শ্রোতার রুচিবোধের সমন্বয় ঘটিয়ে প্রতিনিয়ত নিজেকে নবায়নের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে টিকে থাকার লড়াই, এগিয়ে যাওয়ার যুদ্ধ ও সাফল্যকে হাতের মুঠোয় পুরতে হয়। শক্তিশালী টিমওয়ার্ক মেধা, সৃজনশীলতা ও আইডিয়ার কোনো বিকল্প নেই। রাজনৈতিক দলীয়করণে নিমজ্জিত অনেক গণমাধ্যমের মোড়লরা চারদিকে দৌড়ঝাঁপ ছোটাছুটি করে নিজেদের মতলববাজিতে সফল হলেও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর সংবাদকর্মীরা মাসের পর মাস, অনেকে বছরের পর বছর বেতন পাচ্ছেন না। রুগ্ন প্রতিষ্ঠান গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপদ জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করতে পারে না, তেমনি সমাজেও কোনো ভূমিকা রাখার শক্তি রাখে না। সংসদে দাঁড়িয়ে তথ্যমন্ত্রী প্রিন্ট মিডিয়ার যে প্রচার সংখ্যা ঘোষণা করেন, সেখানে হাতেগোনা কিছু দৈনিক ছাড়া বাকিগুলোর কোনো নাম-নিশানা কোথাও দেখা যায় না। সরকারি বিজ্ঞাপন আদায়ের জন্য এই কৃত্রিম প্রচার সংখ্যা তৈরি হয়। অনেক কাগজের চেহারা মানুষ দেখে না তাদের সম্পাদকের মুখ সবখানে সবপথে বিচরণ করে! অনেক কাগজের অস্তিত্ব বিলীন হলেও তার কর্ণধারদের সার্কুলেশন বেশি বলে ব্যঙ্গ করা হয়। তবু তারা সেটি গায়ে মাখেন না। বিনিয়োগকারীদেরও বিচার করার সময় এসেছে নিয়োগে গুণবিচারী না হলে বিনিয়োগে সাফল্য আসে না। যে প্রতিষ্ঠানে সাফল্য আসে না সে প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্র, সমাজ, দেশ ও মানুষের কল্যাণে সমাজের আয়না হওয়া দূরে থাক কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। গণমাধ্যম কর্মীদেরও আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির সময় দরজায় কড়া নাড়ছে। গণমাধ্যম কর্মীদের মানুষের সমালোচনার মুখোমুখি কেন দাঁড় করিয়েছে? এর উত্তর নিজেদেরই খুঁজতে হবে।

পৃথিবীজুড়ে গণমাধ্যম বা সংবাদকর্মীরা অনেক সময় বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে কোনো দলের দিক ঝুঁকেন সত্য। কিন্তু বাংলাদেশের মতো অন্ধ দলীয় কর্মীর মতো দলবাজিতে ডুবে যেতে গণমাধ্যমের শীর্ষ থেকে  মাঠকর্মীদের আর কোনো দেশে দেখা যায় না। এমন নির্লজ্জ দলবাজি, সিন্ডিকেট সাংবাদিকতা ও মানুষের চাওয়া-পাওয়া আবেগ-অনুভূতিকে ধারণ করতে না পারা এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন না করা মিলিয়ে গণমাধ্যমে ঝুঁকিতে ফেলছেন।

এমনিতেই পৃথিবীর তাবৎ শাসক এখন গণমাধ্যমের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানই নেননি, পশ্চিমা দুনিয়াও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলার লড়াইয়ে গণমাধ্যম এখন কঠিন সময়ের মুখোমুখি। গণমাধ্যমে মেধাবী, পরিশ্রমী, দক্ষ সংবাদকর্মীদের আকাল চলছে। একেকটি গণমাধ্যমে একটি অংশ অধিক পরিশ্রম করছেন, আরেকটি অংশ নেহায়েত চাকরির জীবনযাপন করছেন। গণমাধ্যম আর যাই হোক চাকরির জায়গা নয়।

বার্তাকক্ষ গণমাধ্যমের শক্তিশালী আঁতুড়ঘর। রিপোর্টাররা তার হৃৎপিন্ড। কলামে একালে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, সিরাজউদ্দিন হোসেন, জহুর চৌধুরীদের উত্তরাধিকারিত্ব নিয়ে কেউ উঠে আসছেন না। বার্তা কক্ষে গোলাম সারওয়ার দূরে থাক, আহমেদ ফারুক হাসানও নেই। মোনাজাত উদ্দিনের জায়গায় সারা দেশে একটি নাম গত তিন দশকে উঠে আসেনি। এটি মরুকরণের আলামত মাত্র। অথচ সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির যেমন প্রসার ঘটেছে, তেমনি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নই নয়, আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ও ঘটেছে।

আমরা একটি প্রাতিষ্ঠানিক, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধই করিনি, বারবার সংগ্রামে রক্ত ঝরিয়েছি। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখনো অদৃশ্য রয়ে গেছে। প্রাতিষ্ঠানিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ও স্বাধীন গণমাধ্যম একে অন্যের পরিপূরক। গণমাধ্যমে যখন-তখন যেখান সেখান থেকে হস্তক্ষেপ যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি স্বাধীন সাংবাদিকতায় কালাকানুন প্রতিকূল নয়। তার পরেও গণমাধ্যম জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, ঘুষ-দুর্নীতি, অনিয়ম, ব্যাংক ডাকাতি, শেয়ারবাজার লুট, নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ, যৌননিপীড়ন, শিশু নির্যাতন, পাপাচার, ব্যভিচার, জুলুম নির্যাতন রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে চিত্র তুলে ধরছে। এতে প্রতিনিয়ত কত হামলা নির্যাতন সইতে হচ্ছে। একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক শাসন ও সুশাসন ছাড়া গণমাধ্যমের চতুর্থ স্তম্ভ হওয়া দূরে থাক টিকে থাকার লড়াইই কঠিন।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি
৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন
জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২
নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক
টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক
ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে
সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি
বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব
ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১
শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে
রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’
‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প
ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের
বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের

নগর জীবন

জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা
জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি
নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা