চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সিদ্ধান্ত ছিল রাতের বেলায় নগরের বর্জ্যগুলো অপসারণ করা হবে। কিন্তু এখন অনেক সময় দিনের বেলায়ও বর্জ্য অপসারণ করতে দেখা যায়। সড়কের ওপর বর্জ্যরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করায় তৈরি হয় যানজট। ছড়ায় উৎকট দুর্গন্ধ।
২০১৫ সালের দিকে চসিক রাতের বেলায় বর্জ্য সংগ্রহ করে অপসারণ করা শুরু করে। তবে গত দুই বছর আগে থেকে আবারও দিনের বেলায় বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। গত বছরের ৫ নভেম্বর চসিকের নতুন মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর নগরবাসীর দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে দিনের পরিবর্তে রাতের বেলায় বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণের কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত হলেও এখনো দিনের বেলায় বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত শনিবার দুপুরে দিনের বেলায় আন্দরকিল্লা থেকে ট্রাকে বর্জ্য তোলা হচ্ছে। এ সময় সড়কের এক পাশে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কেবি আমান আলী রোড, টেরিবাজার, পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনের বেলায় বর্জ্য সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের উপ-প্রধান কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা বলেন, এখন দিনের বেলায় বর্জ্য সংগ্রহ করা হয় না। নাগরিকদের কথা বিবেচনা করে রাতেই বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। এরপরও কিছু কিছু এলাকায় দিনের বেলায় বর্জ্য সংগ্রহ করার খবর আমরা পাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে ব্যবহৃত হয় ১২০টি বড় গাড়ি, ৫৫টি টমটম ও ৫০০টি ভ্যান এবং এ কাজে যুক্ত আছেন ৩ হাজার ৫৫৮ জন শ্রমিক। এর মধ্যে ৮৩৬ জন অস্থায়ী দৈনিক চুক্তিভিত্তিক। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বর্জ্যগুলো বাসা এবং ডাস্টবিন থেকে ভ্যানগাড়িতে তুলে নির্দিষ্ট সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে ফেলে। এরপর সেখান থেকে বড় ট্রাকে করে নগরীর দক্ষিণ দিকের আবর্জনাগুলো ফেলা হয় হালিশহরের সমুদ্র উপকূলের আনন্দবাজার এলাকায়।