বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রযুক্তিনির্ভরতার ওপর জোর দিয়েছে সোনালী ব্যাংক

সাক্ষাৎকারে আতাউর রহমান প্রধান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড

প্রযুক্তিনির্ভরতার ওপর জোর দিয়েছে সোনালী ব্যাংক

ব্যাংকিং খাত নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউর রহমান প্রধান, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আরফান আলী, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমরানুল হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- আলী রিয়াজসাইফ ইমন

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পুরো খাতের শীর্ষ ব্যাংক হিসেবে পরিচিত সোনালী ব্যাংক। সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তার ভাতা প্রদানসহ বহুবিধ চ্যারিটিমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। বিপরীতে খেলাপি ঋণ, অনিয়মের নানা অভিযোগও এই ব্যাংকটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সামনে চলে আসে। তবে গত কয়েক বছরে সোনালী ব্যাংক সুশাসন পরিপালনে এমনকি সরকারের কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শীর্ষে উঠে এসেছে। ব্যাংকিং আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি খাতে বড় বিনিয়োগ করার এখন একটি স্বচ্ছ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এসবের নেতৃত্ব দিয়েছেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ব্যাংকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেন।

আতাউর রহমান প্রধান বলেন, সোনালী ব্যাংক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং কার্যক্রমের অন্যতম পদক্ষেপ সোনালী ই-ওয়ালেট। আমরা ক্যাশলেস সোসাইটি গঠনে মোবাইল অ্যাপ চালু করেছি। এই ওয়ালেট অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহক ঘরে বসে অ্যাকাউন্টের টাকা ট্রান্সফার, মোবাইল রিচার্জ, ক্রেডিট কার্ড বিল, ইউটিলিটি বিল, ডিপিএস পরিশোধ করা যায়। এ ছাড়া লিঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সরাসরি লেনদেন, প্রবাসীদের জন্য ব্লেজ নামে একটি ক্রস বর্ডার পেমেন্ট নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে মাত্র পাঁচ সেকেন্ডে বিদেশ থেকে সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টসহ মোট ৩৬টি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে অর্থ প্রেরণ করা যাচ্ছে। যা দক্ষিণ এশিয়ায় এ ধরনের সার্ভিস প্রথম। আতাউর রহমান বলেন, গত দুই বছর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে বাসায় বসে প্রান্তিক মানুষের ব্যাংকিংয়ের সেবাসহ গ্রাহকদের প্রায় সব ধরনের ডিজিটাল সুবিধা দিয়েছে ব্যাংকটি। ২০১৯ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত এ ব্যাংকটিতে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। ব্যাংকটিতে যোগ দিয়ে পাঁচ বছরে প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করলেও করোনার দুই বছরে প্রায় ৮০ শতাংশই সম্পন্ন হয়েছে। সিবিএস থেকে শুরু করে অনলাইন ব্যাংকিং, ঘরে বসেই বিভিন্ন সেবার সুযোগ, রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের ফলে গ্রাহকরা ঘরে বসেই সব ধরনের সেবা পাচ্ছেন বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা, সিনিয়র সিটিজেন যারা সরকারি এ ব্যাংক থেকে ভাতা নেন তাদের জন্য এটি একটি নিরাপদ মাধ্যম। তিনি বলেন, সময় এখন ভার্চুয়াল অ্যান্ড স্মার্ট ব্যাংকিংয়ের। ‘কোর ব্যাংকিং সলিউশন’-এর মাধ্যমে এখন নন-স্টপ ব্যাংকিং সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। অনলাইন ব্যাংকিং সফটওয়্যার যুগোপযোগী করে আমরা ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি। অচিরেই সরকারি সব ভাতা আমরা ডিজিটালি দেব, আর আমরা অচিরেই বৃহত্তর পরিসরে ইন্টারনেট ও এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করব। আতাউর রহমান প্রধান বলেন, সরকারপ্রধানের যথাসময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে ২০২০-২১ সালে করোনায় যতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করেছিলাম, ততটা ক্ষতিগ্রস্ত হইনি। বরং আমাদের প্রবৃদ্ধি অনেক ভালো ছিল। চলতি বছর করোনা মোকাবিলা করে অর্থনীতি স্বাভাবিক গতিতে ফিরবে বলে আমি মনে করি। যদিও ওমিক্রনের আবির্ভাবে কিছুটা শঙ্কিত হয়েছিলাম। তবে আমরা এখন আশাবাদী, ২০২১ সালে যে সংকট ছিল, ২০২২ সালে তা থাকবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো একটি গতি পাবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

সোনালী ব্যাংকের এমডি জানান, আমাদের ১২২৪টি শাখা ম্যানেজার ও অঞ্চলপ্রধান নিয়ে সোনালী ব্যাংকের ইতিহাসে এই প্রথম দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বার্ষিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়। মুজিববর্ষ উপলক্ষে কৃষকদের মাঝে ৫০ কোটি টাকার সুদবিহীন ঋণ বিতরণ।

করোনাকালীন বিভিন্ন খাতে সাফল্যের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত  প্রণোদনার অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। সিএসআর-এর আওতায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ মানুষকে অর্থ এবং খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং সোনালী ব্যাংকের ৫০ বছরপূর্তিতে আমাদের চেষ্টা হচ্ছে, শ্রেণিবিন্যাসকৃত ঋণকে সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসব। তিনি বলেন, আমরা ২০১৯ সালে এ পরিকল্পনার কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে আমরা তেমন এগোতে পারিনি। যদিও খেলাপি ঋণ অনেক কমেছে। তারপরও সিঙ্গেল ডিজিটে যেতে পারিনি। এটা আমার কাছে কষ্টের বিষয়। করোনার সময়ে সরকারের যে গাইডলাইন ছিল এগুলো আমরা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। সরকারিভাবে পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছি। বাংলাদেশ বিমানকে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছি। এ ছাড়া সরকারঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ ভালোভাবেই বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। বলা যায়, ব্যাংকার হিসেবে আমাদের ওপর যে অর্পিত দায়িত্বগুলো ছিল আমরা তা যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। আমরা গুড গভর্ন্যান্সের বেশ কিছু ইস্যুতে উন্নতি করেছি। বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের একটি ভালো বোর্ড রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত ভালো কাজ করছে। একই সঙ্গে ব্যাংকের কর্মচারীদের যে অভাব অভিযোগ বা সমস্যাগুলোর অনেকটাই সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি। বিশিষ্ট এই ব্যাংকার বলেন, সোনালী ব্যাংকের আইটি খাতে বর্তমানে ৩০১ জন কর্মী নিয়োজিত আছেন যারা সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সোনালী ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে গড়ে প্রতিদিন ৬ হাজার ট্রানজেকশন হচ্ছে। তিনি বলেন, করোনাকালেও গত বছর সোনালী ব্যাংক শুধু সেবা নয়, মুনাফায়ও শীর্ষে ছিল। ২০২১ সালে রেকর্ড ২ হাজার ২০৫ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে ব্যাংকটি। ২০২০ সাল শেষে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ২১৫৩ কোটি টাকা। সরকারের সামাজিক খাতের ৩৭টি সেবা সোনালী ব্যাংক দিচ্ছে কোনো রকম কমিশন ছাড়াই। এসব ভাতা উত্তোলনের জন্য যাতে ভাতাভোগীদের আর ব্যাংকে না আসতে হয় সেজন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সব ধরনের সেবা চালু হতে যাচ্ছে যার মাধ্যমে বিভিন্ন ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস থেকে তারা এসব টাকা উত্তোলন করতে পারে। এসব ভার্চুয়াল সার্ভিস চালু হলে ব্যাংকে পাঠানো রেমিট্যান্স গ্রাহকরা বাসায় বসেই তুলতে পারবেন।

বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের একটি ভালো বোর্ড রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত ভালো কাজ করছে। একই সঙ্গে ব্যাংকের কর্মচারীদের  অভাব-অভিযোগ বা সমস্যাগুলোর অনেকটাই সমাধান  করতে সক্ষম হয়েছি। সোনালী ব্যাংকের আইটি খাতে বর্তমানে ৩০১ জন কর্মী নিয়োজিত আছেন

আতাউর রহমান এমডি হিসেবে যোগদানের পর ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। এসব উদ্যোগের মধ্যে অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ করেছেন। কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন। দীর্ঘদিনের পদোন্নতি জটিলতা কাটিয়ে যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়েছেন। ফলে কর্মকর্তাদের মধ্যে কাজের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এ কারণে সারা দেশে সোনালী ব্যাংকের লোকসান প্রায় নেই বললেই চলে। এ ছাড়া গত তিন বছরে সোনালী ব্যাংক যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সোনালী ই-সেবা। এই সেবার মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ইকেওয়াইসির আওতায় ঘরে বসে ব্যাংক হিসাব খোলা চালু করে। এখন পর্যন্ত ওই অ্যাপের মাধ্যমে লক্ষাধিক ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। এ ছাড়াও সোনালী ই-সেবা অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকগণ আয়কর প্রদান, ভ্যাট প্রদান, ট্রাভেল ট্যাক্স প্রদান, হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্সের ঋণের কিস্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি প্রদানসহ অন্যান্য ব্যাংকিং সুবিধাও উপভোগ করতে পারছেন। ২০২১ সালে ১৫ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী তাদের পরীক্ষার ফরম ফিলআপ ফি সোনালী ই-সেবা অ্যাপসের মাধ্যমে প্রদান করে। সোনালী ই-ওয়ালেট গঠনের লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংক আরেকটি মোবাইল অ্যাপ ‘সোনালী ই-ওয়ালেট’ চালু করেছে যার মাধ্যমে গ্রাহক ঘরে বসে এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা প্রেরণ করতে পারেন, সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য যে কোনো ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা প্রেরণ করতে পারেন। মোবাইল রিচার্জ, ক্রেডিট কার্ডের বিল, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে পারেন।

সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকগণ যাতে ঘরের দোরগোড়া থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারেন তার জন্য বিকাশের সঙ্গে ‘লিংক অ্যাকাউন্ট সার্ভিস’ চালু করেছে। ফলে গ্রাহক তার প্রয়োজনমতো যে কোনো সময় যে কোনো স্থান থেকে ২৪/৭ সোনালী ব্যাংকের হিসাব থেকে বিকাশে টাকা স্থানান্তর করার মাধ্যমে গ্রাহকের নিকটবর্তী এজেন্ট পয়েন্ট থেকে নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারছেন।

ফ্রিল্যান্সারদের আহরিত বৈদেশিক রেমিট্যান্স সহজে ও নিরাপদে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আনয়নের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গ্লোবাল ওয়ালেট স্ক্রিলের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। ২০২১ সালে লাইভ অপারেশন চালু হওয়ার পর ইতোমধ্যে ৩ হাজার ৪৬৫টি লেনদেনের মাধ্যমে ৫.৭১ কোটি টাকা এই চ্যানেলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা দেশে আহরণ করেছেন। গ্রাহকের দোরগোড়া থেকে সেবা প্রদান কার্যক্রমের আওতায় ব্যাংকের সব শাখায় নিজস্ব অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। ২০২০ সালে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাবদ প্রায় ১২০ কোটি টাকা নন-ফান্ডেড কমিশন আয় অর্জিত হয়েছে এবং ২০২১ সালে ১৪৩.২৭ কোটি টাকা নন-ফান্ডেড কমিশন আয় অর্জিত হয়েছে। এ ছাড়া পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে ৫৪১৭ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেছে সোনালী ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার পর খুবই দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর প্রাধিকারভুক্ত বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সিন্ডিকেট ঋণের আওতায় ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডকে ৯৮৮ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেছে। বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডকে ১৫০ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে সরকার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডকে এককভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীভাতা সংক্রান্ত সব কার্যক্রমের দায়িত্ব প্রদান করেছে যা ব্যাংকের জন্য গর্বের। মুক্তিযোদ্ধাদের তাঁদের স্বল্প সুদে ৫ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করছে।  সোনালী ব্যাংকের ২০২১ সালে ডিপোজিটের পরিমাণ ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৯ কোটি টাকা এবং ঋণের পরিমাণ ৬৯ হাজার ১১ কোটি টাকা। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ডিপোজিট বৃদ্ধি ৯ হাজার ১৪০ কোটি টাকা ও ঋণ বৃদ্ধির পরিমাণ ১০ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা।

 

সর্বশেষ খবর