কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেখার নাম করে দশম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ভারতে পাঁচার করার সময় স্থানীয় জনতা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে ।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে পাঁচারকারীকে আটক করেছে।
পাঁচারের শিকার মেয়েটির নাম কুমারী জয়ন্তী রানী(১৫)। সে উপজেলার ভাঙ্গামোড় বামনের খামার এলাকার কসাইপাড়ার রামজিত রবিদাসের মেয়ে এবং নগরাজপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শেনীর ছাত্রী।
পাঁচারকারী নুর ইসলাম উপজেলার পশ্চিম ধনিরাম গ্রামের তাহের উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ, মেয়েটি এবং স্থানীয় জনতা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় মেয়েটি আজ সকাল ৯ টায় প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ীর পার্শ্ববতী পাখিরহাট মাদ্রাসার শিক্ষক আজিজুল বিএসসির নিকট আসে। ফেরার পথে দেখা হয় পাড়াতো চাচা জনৈক মজুরউদ্দিনের জামাতা নুর ইসলামের সাথে। নুর ইসলাম ভগ্নিপতি হওয়ায় তার সাথে আগেই জানাশোনা ছিল ছাত্রীটির। কুশল বিনিময়ের এক পর্যায়ে নুর ইসলাম তাকে কাঁটাতারের বেড়া দেখার নাম করে ফুঁসলিয়ে উপজেলার কুটিচন্দ্রখানা সীমান্তের ৯৪০ পিলারের সাবপিলার ২ এর নিকট কাঁটাতারের বেড়ার কাছে নিয়ে আসে।
এসময় ওই পাঁচারকারী মোবাইলে সীমান্তের ওপারের দিনহাটা থানার ভোনাথপুর এলাকার পাঁচারকারীচক্রের সাথে যোগাযোগ করে কালক্ষেপণ করলে ছাত্রীটির সন্দেহ দেখা দেয়। পরে সে কান্নাকাটি শুরু করলে স্থানীয় জহির উদ্দিনসহ এলাকাবাসী দুপুর ২টায় ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে পাঁচারকারীকে আটক করে।
এরপর তাঁরা ওই ছাত্রীর নিকট থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও তার (ছাত্রীর) বাবাকে জানায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুত্ফর রহমান ইউএনওর (উপজেলা নির্বাহী অফিসার)মাধ্যমে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রীটিকে উদ্ধার এবং পাঁচারকারীকে আটক করে।
ফুলবাড়ী থানার ওসি বজলুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক পাচারকারীর বিরদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।