সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে এই প্রথম কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জেলার শ্রেষ্ঠ মহিলা শিক্ষক নির্বাচিত হলেন। তার নাম হাফিজা আক্তার। তিনি মাঝাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
তবে জাতীয়করণের আগে রেজি:স্কুলের সহ-শিক্ষিকা ক্যাটাগরিতে ধরেরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিব্যালয়ের একজন শিক্ষক দিবা রানী দাস জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
জেলার শ্রেষ্ঠ মহিলা শিক্ষক হওয়ায় হাফিজা আক্তার বলেন, ‘শোকর আলহামদুলিল্লাহ। আমাকে সুনামগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা নির্বাচিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আমাদের বিদ্যালয়ের সম্মানিত প্রধান শিক্ষক, বিদগ্ধ সহকর্মী, সম্মানিত অভিভাবক, সুহৃদ বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সুপ্রিয় শিক্ষার্থী, তথা প্রিয় মাঝাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিবারের প্রতি, যাদের নির্মল আন্তরিকতা, সহযোগিতা ও সুপরামর্শ আমার এগিয়ে চলার পাথেয়। আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা উপজেলা ও জেলা শিক্ষা প্রশাসনকে।’
তিনি বলেন, ‘পুরস্কার বা কোনো বিশেষ প্রাপ্তির জন্য নয়, বরং কাজ করি মনের আনন্দে। ভালবাসা থেকে। ২০০৮ থেকে ২০২৪। এ ১৬ বছরের কর্ম জীবনে শিক্ষকতা ছিলো মনের খোরাক। আনন্দ লাভের জন্য, ভালবাসা থেকে কাজ করেছি। নিষ্পাপ শিশুদের মুখ দেখে, তাদের চোখে চোখ রেখে, তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনে দেবার চেয়ে মহৎ, সুন্দর, পবিত্র কাজ আর কী হতে পারে আমি জানি না। আর এ কাজটি করার জন্য পরম করুণাময় আল্লাহ আমার মতো নগণ্য একজনকে বাছাই করেছেন। তার শুকরিয়া জানাবার ভাষা আমার নেই।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ