চট্টগ্রামের রাউজানের সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিমের নির্দেশে পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহিনী দুই পায়ে গুলির পর দুই হাতের কয়েকটি আঙ্গুল কেটে ফেলার অভিযোগ করেছেন কামরুল হাসান নামে স্থানীয় এক বিএনপির কর্মী। শুক্রবার রাউজানে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিজের ওপর সংঘটিত নির্যাতনের বিচার দাবি করেন কামরুল হাসান। এসময় তার স্ত্রী পারভিন আকতার, মেয়ে রুনা আকতার, রেশমি আকতার, সানজিয়া হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কামরুল হাসান বলেন, ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আমি বোয়ালখালী উপজেলায় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ছিলাম। সেখানে রাউজান থানার উপপরিদর্শক টুটন মজুমদার কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে হাজির হন। তাদের সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন সন্ত্রাসী। রাত ১২টার পর তারা আমাকে গ্রামের দুই কিলোমিটার দূরের সূর্যসেন পল্লি এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে আমার দুই পায়ে গুলির পর দুই হাতের কয়েকটি আঙুল কেটে দেন তারা। পরদিন পুলিশ ঘটনাটিকে বন্দুকযুদ্ধ দাবি করে আমাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে পাঠায়।
কামরুল হাসানের অভিযোগ করে বলেন, গ্রেফতারের সময় আমার কাছে কিছুই ছিল না। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পুলিশ আমার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও পেট্রোল বোমা উদ্ধার দেখায়। পুলিশের গুলির পর আমার একটি পা সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়। আরেকটি পাও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাবুল মিয়ার নির্দেশে এ নির্যাতন করা হয়। ২০১৫ সাল থেকে একটি পা বিচ্ছিন্ন। অন্যটিও পঙ্গু। এরপরও ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট আমাকে হাটহাজারীর ভাড়া বাসা থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্র দিয়ে আরেকটি মামলায় ফাঁসানো হয়। আবারও জেলে যেতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাকে রাঙামাটির কাউখালী থানার একটি চাঁদাবাজি মামলায়ও আসামিও করা হয়। শুধু বিএনপি করার কারণে আমার ওপর এসব নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি অভিযুক্তদের বিচার দাবি করছি। শিগগিরই মামলা করব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল