চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় ফারহানা ইয়াছমিন রূপা (২৫) নামের এক গৃহবধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে তার স্বামী ও শাশুড়িসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার গৃহবধূর বাবা আবদুর রশিদ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় এ মামলা করেন বলে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, শনিবার পাঁচলাইশে দ্বিতীয় তলার বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রূপা। যাচাই বাছাই শেষে এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন- নিহতের স্বামী মারুফ মোহাম্মদ নাজবুল আলম (৩৮), শাশুড়ি ছাবেরা বেগম (৫৬), বেবি আক্তার (৪৫) ও ফরিদা বেগম (৪৩)। তাদের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ায়। বিষয়টি আরো গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালে সামাজিকভাবে টেকনাফের বাসিন্দা রূপা ও চকরিয়ার বাসিন্দা মারুফের বিয়ে হয়। তারা পাঁচলাইশ এলাকায় থাকতেন। তাদের সংসারে মাশরুফ আলম (৪) নামে একটা সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে রূপার ওপর নির্যাতন চালাতো। রুপাকে তার বাবার ফ্ল্যাট স্বামীর নামে লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করতো।
শনিবার দুপুরে অভিযুক্তরা রূপাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করলে বিকেলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম