বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন রমজান মিয়া জীবন (২৬) নামের এক তরুণ। এরপর থেকে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার তিনি মারা গেছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক। তিনি বলেন, রমজান মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।
রমজান মিয়ার চাচা মো. রোমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৫ আগস্ট সকালে গুলিস্তান এলাকায় রমজান আহত হন। ওই দিন দুপুরে তার মুঠোফোন থেকেই পরিবারকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন একজন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে রমজানকে আহত অবস্থায় পায় পরিবার। তার মাথায় গুরুতর জখম ছিল। আহত হওয়ার পর থেকেই তার জ্ঞান ছিল না। সর্বশেষ হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, রমজান পুরান ঢাকার আলুবাজার এলাকায় একটি জুতা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। তার পরিবার মিরপুর এলাকায় থাকত। সেদিনও বাসায় যাওয়ার কথা বলে কারখানা থেকে বের হয়েছিলেন রমজান। তার স্ত্রী সাহারা খাতুন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ