ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারপতিদের অনতিবিলম্বে অপসারণ ও আদালত প্রাঙ্গণে গণহত্যাকারীদের পক্ষে স্লোগান দেওয়া ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি তোলে জাতীয় নাগরিক কমিটি’র লিগ্যাল উইং।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের দ্বারা সংঘটিত জুলাই ম্যাসাকারের বিচার প্রক্রিয়া এখনো দ্রুতগতিতে ত্বরান্বিত হয়নি। কিন্তু গতকাল আদালত চত্বরে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা গণহত্যাকারী হাসিনা ও গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগের পক্ষে স্লোগান দিতে দেখেছি আমরা। জুলাইয়ের শহীদদের জানাজা চলমান, আহতদের চিকিৎসা এখনো শেষ হয়নি, রাজপথে রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদী খুনিদের আস্ফালন এখনো থামেনি।
তারা বলেন, সকল ব্যক্তিরই আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার আছে। কিন্তু গণহত্যার সাথে জড়িত কোনো খুনি এবং তার দলের পক্ষে স্লোগান দেওয়া কিংবা পুনর্বাসনের চেষ্টার অধিকার কারো নেই। আমরা মনে করি, আদালত প্রাঙ্গণে হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষে স্লোগান দেওয়া শহীদ ও আহতদের রক্তের সাথে উপহাসের শামিল। যে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে ফ্যাসিবাদ ও গণহত্যাকারী হাসিনার গুম-খুন-দুর্নীতি-নির্যাতনের রাজত্ব কায়েম হয়েছে এবং আমাদের ভাই-বোনদের শহীদ করা হয়েছে, আইনজীবী পেশাকে ঢাল বানিয়ে সে একই স্লোগান তুলেছে পরাজিত মুজিববাদী ফ্যাসিবাদীরা।
এ ছাড়াও আমরা দেখতে পাই, বিভিন্ন আদালতের যেসকল বিচারকরা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন সময় বক্তব্য দিয়েছেন, নিজেদের ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন, ফ্যাসিবাদী জমানায় গণবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন, তারা এখনো আদালতে বসে বিচারকার্য পরিচালনা করছেন।
আইনজীবীরা বলেন, যে সকল বিচারকরা ফ্যাসিবাদের দোসর হওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত স্ব-স্ব পদে বহাল আছেন এবং বিচারকার্য পরিচালনা করছেন, তাদের গণবিরোধী ফ্যাসিবাদী অবস্থানের কারণে দ্রুত অপসারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সংবিধানের অজুহাত দেওয়া চলবে না। এ ছাড়াও, যে সকল আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে গণহত্যাকারী হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের পক্ষে স্লোগান দিয়েছে এবং তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করেছে, তারা এই গণহত্যার মদদদাতা এবং এদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটি’র সদস্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিলা ঝুমা, অ্যাডভোকেট হুমায়রা নুর, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা প্রমুখ। এতে সংহতি বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই