চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সব স্কুল ও মাদরাসায় টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা। কাদের আত্মত্যাগে ও কীভাবে বাংলাদেশ নামের ভূখণ্ডের জন্ম হয়েছে, সেই গৌরবময় ইতিহাস কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জানাতে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিয়েছে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন। গত ১৮ জুলাই স্কুলে স্কুলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা টাঙানোর কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ এস এম আল মামুন। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গত ১৮ জুলাই কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। ইতোমধ্যে সীতাকুণ্ডের ৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ছয়টি মাদরাসার সবকটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশে এমন উদ্যোগ এটাই প্রথম। এ উদ্যোগের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তাদের জানানো জরুরি। শ্রেণিকক্ষে শুধু পাঠ্যপুস্তক পড়ে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের আত্মত্যাগ উপলব্ধি করতে পারে না। সেই আত্মত্যাগের সঠিক ইতিহাস জানলেই শিক্ষার্থীরা নিজেকে দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। দেশকে ভালোবাসতে পারবে। আর কাজে-কর্মে, চিন্তা-চেতনায় দেশপ্রেম থাকলেই নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের সারিতে দাঁড় করাতে পারবে। এজন্য সংসদ সদস্যের নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন সব স্কুলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা টাঙানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ কাজে সহযোগিতা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এমন বিরল সম্মান প্রদর্শনের জন্য জনপ্রতিনিধি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা ইউএনওকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।