বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত ও আদালতে চলমান মামলা এবং রায়প্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের চাকরিতে সব সুযোগ-সুবিধাসহ পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তারা বলছেন, আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে। আমরা এ বৈষম্য চাই না। আমরা চাই জনগণের পুলিশ হয়ে কাজ করতে। আমরা চাই আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমরা আমাদের পোশাক ফেরত চাই। তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামব।
চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়কদের একজন চাকরিচ্যুত এসআই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে নানাভাবে আমাদের হয়রানি করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কেউ ফেসবুকে কোনো পোস্ট দেওয়ার কারণে, কেউ বা আবার কোনো পোস্টে কমেন্ট করে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। দলীয় লোকদের গ্রেপ্তার করার কারণেও অনেককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অনেক সদস্যের নামে মাদক সেবনের অভিযোগ তুলে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে চাকরিতে পুনর্বহাল বা পোশাক ফিরিয়ে না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
এদিকে, মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হলে তাদের ডাক দেন নবনিযুক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। এরপর মানববন্ধন স্থগিত করে আন্দোলনরতদের মধ্যে থেকে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ সদর দপ্তরে প্রবেশ করেন। তারা আইজিপির প্রতিনিধি পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অডিট অ্যান্ড ইন্সপেকশন) মো. হায়দার আলী খানের কাছে তাদের দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেন। চাকরিচ্যুত এসআই ইব্রাহিম খলিলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন- এএসআই ফিরোজ, এএসআই জাকির, এএসআই মামুন এবং কনস্টেবল পংকজ।
চাকরিচ্যুত এসআই তুহিন কাজী, এসআই মশিউর রহমান, কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের দুর্নীতিপরায়ণ ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের ব্যক্তিগত রোষানলে পড়ে অনেকে চাকরিচ্যুত হয়েছেন।
.শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যত পুলিশ সদস্যকে বিভিন্ন অজুহাতে বিভাগীয় মামলা সাজিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, অবিলম্বে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। আমরা সারা দেশে পুলিশের পোশাক পরে অন্য পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ডিউটি করতে চাই। দেশের সেবায় নিয়োজিত হতে চাই। আক্রোশের বশবর্তী হয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের এবং আমাদের পরিবারকে ধ্বংস করেছে। এসব ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।