বিএনপি ২০০৬ সালের পর থেকে ক্ষমতার বাইরে ছিল। এ সময়ে সম্মেলন হয়নি জেলা ও মহানগর কমিটির। কেন্দ্র থেকে চাাপিয়ে দেওয়া কমিটিতে চলেছে সংগঠনটির কর্মকান্ড। জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় বার বার কমিটিতে পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু খুব একটা লাভ হয়নি। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সাংঠনিকভাবে রাজনীতির মাঠে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বিএনপি। এ জন্য শিগগিরই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে চলবে শুদ্ধি অভিযান।
রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপিতে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছে আহ্বায়ক কমিটি। তিন মাসে সম্মেলন করার নির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্র ওই কমিটি দিয়েছিল। সেই কমিটিই দায়িত্ব পালন করছে দুই বছর ধরে। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু জানান, আওয়ামী লীগের দমন-পীড়নের কারণে তারা রাজনৈতিক মাঠে গণতন্ত্রের চর্চা করতে পারেননি। মিছিল মিটিং করলেই মামলা-হামলা চলতো। ফলে ইচ্ছা থাকলেও বিএনপি সম্মেলন করে কমিটি দিতে পারেনি। আহ্বায়ক কমিটি কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয়েছে। তবে এবার তেমনটা হবে না বলেই আশা তার। সিনিয়র এই নেতা বলেন, সম্মেলন করে নেতৃত্ব বাছাইয়ের মাধ্যমে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াবে আগের চেয়ে দ্বিগুণ জনপ্রিয়তা নিয়ে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল হক মিলন বলেন, ‘বিএনপি সবসময় মাঠে ছিল। মাঠে থাকার কারণেই বিপুল পরিমাণ নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে, জেলে যেতে হয়েছে। কমিটি পরিবর্তন করে লাভ হয় না। কারা নেতুত্বের জন্য উপযুক্ত, সেটি কেন্দ্রকে বুঝতে হবে। কেন্দ্রীয় নেতারা সেটি এতদিনে বুঝতে পেরেছেন। আগামীতে মাঠে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন হবে। তারাই দলকে নেতৃত্ব দেবেন। বিএনপি আবার ঘুরে দাঁড়াতে চায় দ্বিগুণ জনপ্রিয়তা নিয়ে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, এত সংকটের পরও বিএনপি টিকে আছে মানুষের ভালোবাসায়। এখন সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়ানোর। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা আছে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার। শিগগিরই সেটি শুরু হবে। বিএনপি নতুন নতুন পদক্ষেপ ও কর্মসূচি নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে। এখন লক্ষ্য আগামী সংসদ নির্বাচন।