খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দেশ পুনর্গঠনের কাজে সরকারকে সবার সাহায্য-সহযোগিতা করা প্রয়োজন। তারা বলেন, যারা বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছেন, রাস্তাঘাট দখল করছেন তারা দেশের ভালোর জন্য করছেন না। এদের অনেকে পরাজিত স্বৈরাচার শক্তির ক্রীড়নক হিসেবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। গতকাল পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির সভায় তারা এ কথা বলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, আবদুল হাফিজ খসরু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতা এখন আগের চেয়ে অনেক সজাগ রয়েছে। তাই অভ্যুত্থানবিরোধী কোনো অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্র সফল হবে না। দেশের একটি অংশ ভারতীয় বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের সব ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তারা বলেন, ফেনীসহ বন্যাকবলিত স্থানে পানি নেমে যাওয়ার পর যে দুর্ভোগ শুরু হয়েছে তা অবর্ণনীয়। মানুষের থাকার ঘর নষ্ট হয়ে গেছে। রাস্তাঘাট খানাখন্দে ভরে গেছে। তাই সরকারকে অবিলম্বে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করা দরকার। হাসপাতালগুলো পরিপূর্ণ চালু ও দ্রুত রাস্তাঘাট মেরামত করতে না পারলে বিপর্যয় আরও বাড়বে। যেসব অঞ্চল এখনো পানিতে তলিয়ে রয়েছে সেখানে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। খেলাফত মজলিস গত ২১ আগস্ট ফেনী থেকে শুরু করে বন্যাকবলিত সব স্থানে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রশাসনসহ সব স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে এই দুর্যোগের মুহূর্তে মানুষের পাশে আরও বেশি করে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।