বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে যেভাবে ছাত্রলীগ-যুবলীগকে উসকে দিয়েছেন সেই একই কায়দায় এখন বিদেশে বসে উসকানি দিচ্ছেন। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন। শেখ হাসিনা যদি মনে করেন একটা রক্তাক্ত বাংলাদেশের আবহ তৈরি করে, সেই সুযোগে বাংলাদেশে প্রবেশ করবেন তা এই দেশের মানুষ হতে দেবে না। গতকাল শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে গোপালগঞ্জের একজন ছাত্রলীগ নেতার কল রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ছাত্রলীগ নেতা বলছেন, ‘আপা পুলিশ প্রতিদিন পাঁচ-ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।’ শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার এক মাসও হয়নি অথচ স্বেচ্ছাসেবক দলের দিদারকে গোপালগঞ্জে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতা-কর্মীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এরপরও পুলিশ তাদের পূজা করবে? তাদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানাবে?
তিনি বলেন, ভাইরাল হওয়া কল রেকর্ড প্রমাণ করে শেখ হাসিনা কতটা বর্বর, নিষ্ঠুর, রক্তপিপাসু, বিবেকহীন ও অমানবিক। অথচ তিনি বলতে পারতেন, ওইখানে হত্যাকান্ড হলো কেন? অন্য একটি রাজনৈতিক দলের নেতা মারা গেল কেন? বলেনি, কারণ শেখ হাসিনা ছিলেন আওয়ামী লীগের জননী, গডফাদারদের জননী, টাকা পাচারকারীদের জননী।
রিজভী বলেন, এই কারণেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বাইরে যে ব্যক্তিই গণতন্ত্রের জন্য কথা বলেছে তাকেই খুন-গুম-হত্যা করেছে। আয়নাঘরে আটকে রেখেছে।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমসহ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।