বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮০৩ পুলিশের উপ-পরিদর্শককে বিভিন্ন থানায় পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পাচ্ছি। এরা কেউ নিরপেক্ষ নন। তারা সবাই হাসিনার ক্যাডার। এদের মধ্যে ২০০ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন, যাদের বাড়ি গোপালগঞ্জে। এসব পুলিশ কর্মকর্তার ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে। গতকাল রাজধানীর উত্তরায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ দাবি জানান।
এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহস্বাস্থ্য সম্পাদক পারভেজ রেজা কাকন, উত্তরের মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল, উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, এস এম জাহাঙ্গীরসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে রিজভী বলেন, যে পুলিশ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে শহীদ করেছে, সেই সব পুলিশ কীভাবে এখনো প্রশাসনে বহাল আছে? গোপালগঞ্জের মতো জেলার বাসিন্দা পুলিশের ২০০ এসআই কীভাবে এখনো হাসিনার ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করছে? এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন দিয়ে শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতা এবং রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে, গুম-খুন করে বাংলাদেশকে গণকবরে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, প্রশাসনে এখনো অনেক ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে। ব্যক্তিদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এ ছাড়া শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।