টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলার ও স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজের ২দিন পর কলেজ ছাত্র নুর মোহাম্মদ শওকত (২২) এর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সাবরাং জিরো পয়েন্টে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে সৈকতের মৃতদেহ। সে টেকনাফ কলেজের ছাত্র এবং দ্বীপের বাসিন্দা। এর আগে শুক্রবার সকালে টেকনাফের সেন্টমার্টিন পশ্চিম বীচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একই ঘটনায় নিখোঁজ মো. ফাহাদ (২৮), মো. ইসমাইল (২৭) এর মৃতদেহ।
সেন্টমার্টিনদ্বীপের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য আবু বক্কর গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৬৫ দিন মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সেন্টমার্টিনের সাদ্দাম হোসেনের মালিকানাধীন এফবি সাদ্দাম টেকনাফ ঘাটে ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর ট্রলারটি সেন্টমার্টিনদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। ট্রলারটিতে ৬ জেলের সঙ্গে ১২ জন যাত্রী উঠে। ট্রলারটি দুপুর আড়াইটার দিকে শাহপরীরদ্বীপ অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় পৌঁছলে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, ঘটনার পর পরই সেন্টমার্টিন ঘাট থেকে কয়েকটি ফিশিং ট্রলার, কয়েকটি সার্ভিস বোট যোগে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ১৬ জনকে উদ্ধার করা গেছে।
এদিকে, ট্রলার ডুবির পর উদ্ধার তৎপরতা ঘিরে কোস্টগার্ডের সাথে সেন্টমার্টিনবাসীর মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এই ঘটনায় দ্বীপে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।