কক্সবাজার শহরে আন্দোলনকারীদের সাথে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ একজন নিহত হয়েছেন। এতে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। জেলা বিএনপির কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরের পর থেকেই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কক্সবাজারের লিংকরোড বাস টার্মিনাল এলাকায় বিশাল মিছিল বের করে। বিকেলের দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে কক্সবাজার শহরে প্রবেশ করে। অপরদিকে কক্সবাজার পাবলিক হল মাঠে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে নাশকতা বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিল নিয়ে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। সন্ধ্যা ৭টার পর থেকেই শহরের শহীদ স্মরণী ও ঘুনগাছতলা এলাকায় আন্দোলনকারীদের সাথে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় এলোপাতাড়ি গুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে ২০ থেকে ২২ জন আহত হয়। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে রাত ৮টায় শহীদ মিনারের পাশে অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বিএনপির এ কার্যালয়টি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এসময় শহরের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন জানিয়েছেন, রবিবার দুপুর ২টায় শহরের কালুর দোকান, রুমালিয়ারছরা (পিটি স্কুল), আলীর জাঁহাল এলাকায় আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সড়কের বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় দুপুর ২টা থেকে প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়। পরে আন্দোলনকারীরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের বাসটার্মিনাল ও লিংকরোডের দিকে এগিয়ে যায়।
এদিকে দুপুর থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়।
খবর নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজারের উখিয়া কোটবাজার স্টেশনে পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে আন্দোলনকারীরা। সেখানেও কয়েক ঘণ্টা প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
এ ব্যাপারে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে মন্তব্য করেননি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল