বেতন বৈষম্য দূর করা ও চাকরি স্থায়ীকরণসহ তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন এবং বিক্ষোভ করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীরা। আজ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের তৃতীয় তলায় বিক্ষোভ করে তারা। পরে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে দুপুরের দিকে কর্মসূচি স্থগিত করে কাজে ফিরে গেছে শ্রমিক-কর্মচারীরা বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে তিন দফা দাবিতে নগর ভবনের কর্মবিরতি শুরু করেন মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীরা। এ সময় তারা নগর কর্তৃপক্ষের নিকট বেতন বৈষম্য দূর করা, স্থায়ী নিয়োগ প্রদান ও ছুটি মঞ্জুরের দাবি তুলে ধরেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, ১০ বছর অতিবাহিত হলেও তাদের অনেকেরই চাকরি নিয়মিত হচ্ছে না। কোন নিশ্চয়তা ছাড়াই অস্থায়ীভাবেই চাকরি করতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে রয়েছে বেতন নিয়ে বৈষম্য।
তারা বলেন, মেয়রের পছন্দসই ব্যক্তিরা ইচ্ছেমতো অফিস করে ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতন পায়। কিন্তু সাধারণ কর্মচারীরা মাত্র ১০ হাজার টাকা বেতন পায়। একইসাথে দীর্ঘদিন অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করলেও মেয়রের মনপুত না হলে কাউকে স্থায়ী করা হয় না।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন বলেন, আমার কোন সিদ্বান্ত দেয়ার ক্ষমতা নেই। সিদ্বান্ত পরিষদ দেবে। আমি তাদের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছি। এতে তারা শান্ত হয়ে কাজে ফিরে গেছে।
সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রতিটি বিভাগে ৫০-৬০ জন করে চুক্তিভিত্তিক ও দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন। সব মিলিয়ে তাদের সংখ্যা এক হাজারের মতো। প্রতিটি বিভাগের শ্রমিক-কর্মচারীরাই কর্মবিরতি এবং বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম