বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিরাজগঞ্জে নিহত যুবদল ও ছাত্রদলের তিন নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় সাবেক দুই সংসদ সদস্য, মন্ত্রী পরিষদ সচিবসহ জ্ঞাত-অজ্ঞাত প্রায় ৯শ’ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নিহতের স্বজনেরা বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন।
প্রতিটি মামলায় অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও সবগুলো মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরী এবং সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে। তিন মামলায় মোট ৪৬৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অন্যান্যদের মধ্যে আসামিরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে.এম. হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, সাবেক পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তাসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধি রয়েছেন।
সদর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির কবির জানান, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সরকার পতনের একদফা আন্দোলন চলাকালে তিনজনকে গুলি করে, পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহানুর রহমান খান রঞ্জুর স্ত্রী পৌর এলাকার মাছুমপুর মহল্লার মৌসুমী খাতুন বাদী হয়ে ১৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ১০০/১৫০ বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গয়লা মহল্লার নিহত সুমনের বাবা গঞ্জের আলী বাদী হয়ে ১৫৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ১০০/১৫০ বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। একই মহল্লার যুবদলকর্মী নিহত আব্দুল লতিফের বোন মোছা. সালেহা খাতুন বাদী হয়ে ১৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০০/১৫০ বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত ও আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত