দেশ জুড়ে দুর্গোৎসবের আয়োজনের ধারাবাহিকতায় মেতেছে সম্প্রীতির জেলা নেত্রকোনা। জেলার প্রতিটি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরি শেষ, এখন চলছে রংতুলির কাজ। নির্বিঘ্নে দুর্গোৎসব পালন করতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
প্রতি বছর উৎসবমুখর পরিবেশে জেলার ১০ উপজেলায় শারদীয় উৎসব উদযাপিত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হয় নেত্রকোনা শহরে। এ উপলক্ষ্যে প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বস্তরে কঠোর নজরদারি রাখা হয়।
গত বছর ৫৬০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হলেও এবার ৯৫টি কমে ৪৬৬টি মন্দির প্রস্তুত হয়েছে।
এর মধ্যে জেলা সদরে ১০৫টি, পূর্ধলায় ৪১টি, বারহাট্টায় ৪৮টি, মোহনগঞ্জে ৩৪টি, দুর্গাপুরে ৬২টি, কলমাকান্দায় ৩৬টি, মদনে ১২টি ও খালিয়াজুরীতে ৩৩টি মণ্ডপ প্রস্তুত হচ্ছে।
পৌর শহরের সাতপাই পারিবারিক ঐতিহ্য বজায় রেখে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে ১৩০ বছর ধরে পূজা করা লাবন্য কুটিরের দোলন সরকার জানান, তাদের মধ্যে কোনোদিন সম্প্রীতির ব্যত্যয় ঘটেনি।
পূজা উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন পণ্ডি জানান, বর্ধিত সভায় জেলার দুই থেকে আড়াইশ’ পূজারি উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ জানান, প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। পাশাপাশি সম্প্রীতি ধরে রাখতে ডিএসবিসহ পুলিশের তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। কেউ বিশৃঙ্খলা করলে আমরা ছাড় দেব না। কিছু মানুষ থাকেই যারা হঠাৎ করে একটা গুজব ছড়িয়ে জেলার ভাবমূর্তি নষ্ট করে।
বিডি প্রতিদিন/