ঝিনাইদহের মহাসড়ক সংস্কারের প্রতিবাদ জানিয়ে জুয়েল হোসেন নামের এক স্থানীয় ব্যবসায়ী ভালো ফলনের আশায় ধানের চারা রোপণ করেন। সড়কে রোপণকৃত ওই ধানে সার ছিটিয়ে ও কীটনাশক স্প্রে করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে ফলনও বেশ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পূজার আগে ওই ধান কেটে নেওয়া হয়েছে। মোটামোটি ফলন ভাল হয়েছে। শুনতে অবাক লাগলেও ধানের এমন আবাদ হয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজারে। বাজারে গেলেই দেখা মিলবে পাকা রাস্তার পাশে এ ধানক্ষেত।
স্থানীয়রা জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কে অবস্থিত এই বাজারটি জেলার অন্যতম একটি বড় বাজার। বাজারের ওপর দিয়ে যাওয়া মহাসড়কে প্রতিদিন চলাচল করে হাজার হাজার গাড়ি। বাজারের পশ্চিম অংশে মহাসড়কের পাশে কয়েক মাস আগে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। সেখানে পানি জমে থাকায় প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারীসহ সড়কে চলাচলকারীরা। ঝুঁকি নিয়ে চলছিল বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় যানবাহন। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের। ওই সব গর্তে পড়ে যানবাহন বিকল হওয়াসহ নানা দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটেছে। একদিকে যেমন কাদামাটি, তার সঙ্গে বৃষ্টির পানি, এমন অবস্থায় নাজেহাল পথচারী, স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা।
বিড়ম্বনায় শিকার এই রুটে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকেরা। তাই দীর্ঘদিনের ভোগান্তি আর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে সংকেত হিসেবে সেখানে ধানের আবাদ করেন জুয়েল হোসেন।
ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের হাটগোপালপুর বাজারের পশ্চিম পাশের ধান-পাট ও ভুষির ব্যবসা করেন জুয়েল। ধানের ফলন ও বেশ ভালো হয়েছে বলে জানিয়ে এ ব্যবসায়ী বলেন, বাংলাদেশের মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। তার প্রমাণ সড়কের পাশের ধানের আবাদ। আড়াই মাস আগে এই ধান রোপণ করি। ফলনও ভালো হয়েছে। পূজার আগেই ধান কেটেছি। দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার কাজ না করায় এমন প্রতিবাদ জানিয়েছি।
মহাসড়কে বেহাল দশার প্রতিবাদ ও চলাচলকারীদের সতর্ক করতে পাকা রাস্তার পাশে ধানের আবাদ করেছিলেন বলে জানান তিনি।
স্থানীয় মশিয়ার রহমান জানান, এই বাজারের ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। বাজারের পশ্চিম অংশে মহাসড়কের পাশে কয়েক মাস আগে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। সেখানে পানি জমে থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারীসহ সড়কে চলাচলকারীরা। সংস্কার না করায় প্রতিবাদ জানাতে ওই ব্যবসায়ী সেখানে ধান চাষ করেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ