যশোরের ভবদহ জলাবদ্ধতা সমস্যার অন্যতম কারণ আমডাঙ্গা খাল প্রশস্ত করে পুনঃখননের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এতে অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। এর অংশ হিসেবে শনিবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি দল আমডাঙ্গা খাল ও সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তারা জলাবদ্ধ এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে তাদের মতামতও নেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, এই দল ঢাকায় ফিরে আমডাঙ্গা খাল সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবেন। সে অনুযায়ী দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নির্দেশনাও দিয়েছেন।
প্রধান প্রকৌশলীর আমডাঙ্গা খাল পরিদর্শনের সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার প্রধান প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ, ঢাকাস্থ মণিরামপুর সমিতির সভাপতি ইকবাল কবীর, সহসভাপতি মধুসূদন মন্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আমডাঙ্গা খাল প্রশস্ত করে খনন এবং একইসাথে এই খালের ওপর থাকা কয়েকটি রেল ও সড়ক সেতু প্রশস্ত করা হলে জলাবদ্ধ তিন উপজেলার ২০ ভাগ পানি ভৈরব নদে নেমে যাবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা মনে করছেন।
যশোরের ভবদহ স্লুইচ গেটকে ঘিরে তিন উপজেলা অভয়নগর, কেশবপুর ও মণিরামপুরের ১০ লক্ষাধিক মানুষ কয়েক যুগ ধরে জলাবদ্ধতা সমস্যায় আক্রান্ত।
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে যে আন্দোলন করে আসছি, তার একটি অংশ সফল হতে চলেছে। আমডাঙ্গা খাল সংস্কার হলে ভবদহ এলাকার ২০ ভাগ পানি নেমে যাবে। তাতে এই সমস্যার ২০ ভাগ সমাধান হয়ে যাবে’।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রাম অচিরেই পুরোপুরি সফল হতে যাচ্ছে বলে আমরা মনে করছি। এই জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কেবল আশ্বাসই দেননি, তিনি সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারই প্রমাণ হলো এই আমডাঙ্গা খাল প্রশস্ত করে খনন ও সংস্কারের উদ্যোগ’।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
