জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ত্যাগের মাধ্যমে যে পরিবর্তন এসেছে তা যেন দেশের জন্য মঙ্গলজনক হয়। জাতির জন্য আশা জাগানিয়া হয়। আগের চেয়ে যেন খারাপ না হয়। তাই জাতি গঠনে সব ভেদাভেদ ভুলে ও মতপার্থক্যে লিপ্ত না হয়ে সমবেতভাবে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা যেন সম্মিলিতভাবে দেশ ও জাতিকে গড়ে তুলতে পারি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আন্দোলনে সাংবাদিকদের অবদানের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘সিলেটে একজন সাংবাদিক মারা গেছেন। সাংবাদিকরাও আমাদের অংশ। তারাও এ যুদ্ধে শরিক ছিলেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাও তাদের কাজ। আমাদের চেয়ে তাদের দায়িত্ব আরও বেশি। সে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা মারা গেছেন। তাদের ত্যাগ যেন আমরা সারা জীবন মনে রাখি।’
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, যারা সদ্যক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে মরণকামড় দিয়েছিলেন। তারা যে কোনোভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। এজন্য তারা ৩ থেকে ৫ আগস্ট সারা দেশে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালায়। ৪ আগস্ট সিলেটের বিভিন্ন স্থানে এমন অনেক ঘটনা ঘটে। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি অসংখ্য। তাদের কারও শরীরে এক দিক দিয়ে গুলি ঢুকে অন্য দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। কারও হাত-পা গুঁড়ো হয়ে গেছে। পেট ছিদ্র হয়ে গেছে। এসব দৃশ্য খুবই কষ্টদায়ক। তাদের এ ত্যাগ জাতি চিরদিন মনে রাখবে।