বর্তমানে মানবশরীরে একাধিক জটিল রোগের বাসা বাঁধার প্রবণতা বাড়ছে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যার মতো থাইরয়েডের সমস্যাও বাড়ছে দিনের পর দিন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুরুষদের তুলনায় নারীদের থাইরয়েডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
শরীরে কয়েকটি বিশেষ লক্ষণ দেখা দিলেই, থাইরয়েড পরীক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সেগুলো কী কী-
১. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরেও অল্প পরিশ্রমের পরেই অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়েন অনেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে- ক্লান্তি থাইরয়েডের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ। এমনটা একটানা দেখা দিলে থাইরয়েড পরীক্ষা
করানো উচিত।
২. ঠান্ডা-গরমের কারণে নয়, সারা বছর ধরেই সর্দিকাশির সমস্যা দেখা যায় অনেকের। ঠান্ডা লাগার এমন প্রবণতা দেখা দিলেও সতর্ক হওয়া উচিত।
৩. অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যায় ভুগছেন? থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ঋতুচক্রেও প্রভাব পড়ে। তাই প্রথম দুই মাস এই সমস্যা দেখা দিলেই থাইরয়েড পরীক্ষা করিয়ে নিন।
৪. হজমশক্তি কমে গেছে? যার কারণে দ্রুত ওজন বাড়ছে। এটিও থাইরয়েডের লক্ষণ। থাইরয়েডের সমস্যা হলে বিপাক হারেও প্রভাব পড়ে।
৫. থাইরয়েড হলে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। সঠিক পরিচর্যার পরেও যদি সমস্যার সমাধান না হয় সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। মনে রাখবেন, এসবক্ষেত্রে নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে উত্তম। প্রতিকার নয় প্রতিরোধ উত্তম।
সূত্র : হেলথ জার্নাল।