‘ডেঙ্গু’ শব্দের উদ্ভব পরিষ্কার নয়, তবে একটা মত হলো এটি এসেছে Swahili শব্দবন্ধ কান্ডডিঙ্গা পেপো, যার অর্থ দুষ্ট আত্মার কারণে ঘটিত রোগ। সোয়াহিলি শব্দ ‘ডিঙ্গা’ খুব সম্ভব স্পেনীয় শব্দ ‘ডেঙ্গু’র মূলে আছে যার অর্থ খুঁতখুঁতে বা সাবধানী, যা ডেঙ্গু জ্বরের হাড়ের ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তির চলনকে বর্ণনা করে। তবে এটাও সম্ভব যে এ স্পেনীয় শব্দের ব্যবহার একই উচ্চারণের সোয়াহিলি থেকে এসেছে। বলা হয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রীতদাসদের মধ্যে যাদের ডেঙ্গু হতো তাদের ভঙ্গিমা ও চলন ডান্ডি (নৌকা)র মতো হয়ে যেত আর তাই রোগটি ‘ডান্ডি জ্বর’ নামে পরিচিত ছিল।
‘ব্রেক বোন ফিভার’ শব্দটি প্রথম প্রয়োগ করেন পদার্থবিদ ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেঞ্জামিন রাশ, ১৭৮০ সালের ফিলাডেলফিয়ার মহামারির ওপর ১৭৮৯ সালে লিখিত এক রিপোর্টে। রিপোর্টে তিনি মূলত ‘বিলিয়াস রেমিটিং ফিভার’ শব্দটি ব্যবহার করেন। ১৮২৮ এর পর ডেঙ্গু জ্বর শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়। অন্যান্য ঐতিহাসিক শব্দের মধ্যে আছে ‘ব্রেকহার্ট ফিভার’ এবং ‘লা ডেঙ্গু’।
প্রবল রোগের শব্দাবলির মধ্যে আছে ‘ইনফেকচুয়াস থ্রম্বোসাইটো-পেনিক পার্পারা’ এবং ‘ফিলিপাইন’, ‘থাই’ বা ‘সিঙ্গাপুর হেমোরেজিক ফিভার’। কয়েক প্রজাতির এডিস মশকী (স্ত্রী মশা) ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রধান বাহক। যেগুলোর মধ্যে এডিস ইজিপ্টি মশকী প্রধানতম।
ভাইরাসটির পাঁচটি সেরোটাইপ পাওয়া যায়। ভাইরাসটির একটি সেরোটাইপ সংক্রমণ করলে সেই সেরোটাইপের বিরুদ্ধে রোগী আজীবন প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করে, কিন্তু ভিন্ন সেরোটাইপের বিরুদ্ধে সাময়িক প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করে। পরবর্তীতে ভিন্ন সেরোটাইপের ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত হলে রোগীর মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। কয়েক ধরনের টেস্টের মাধ্যমে ডেঙ্গুজ্বর নির্ণয় করা যায়। -হেলথ জার্নাল।