ইসরায়েল গোটা মধ্যপ্রাচ্যকেই চমকে দিয়েছে। রীতিমতো থতমত খেয়ে গেছে প্রযুক্তি দুনিয়া। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিনব আক্রমণ পদ্ধতি দেখিয়েছে ইসরায়েল। ভারী কোনো অস্ত্র নয় বরং হিজবুল্লাহর বহুল ব্যবহৃত যোগাযোগ যন্ত্র পেজার দিয়েই তাদের ঘায়েল করেছে ইসরায়েল। যা অনেকের কাছেই অকল্পনীয়। পেছনে থেকে এই খেলা খেলেছে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।
বিশ্ব গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, মোসাদের পাতা ফাঁদেই পা দিয়েছে হিজবুল্লাহ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে, হাঙ্গেরিভিত্তিক বিএসি কনসাল্টিং থেকে পেজার আমদানি করেছিল হিজবুল্লাহ। যা প্রকৃতপক্ষে মোসাদেরই বানানো একটি প্রতিষ্ঠান। তারা ইসরায়েলি পরিচয় গোপন করে ছদ্মেবেশে এই প্রতিষ্ঠানের কাজে অর্থায়ন করতো। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে বলা হয় ‘শেল কোম্পানি’।
হাঙ্গেরির এই প্রতিষ্ঠানের তৈরিকৃত পেজার ক্রয়ের জন্য তাইওয়ানে কোম্পানি গোল্ড অ্যাপোলোর সঙ্গে চুক্তি করেছিল হিজবুল্লাহ। আর সেই পেজারই বিস্ফোরিত হয় লেবাননে।
নিউইয়র্ক টাইমস আরো দাবি করেছে, যোগাযোগ এবং নিরাপত্তা সরঞ্জাম তৈরিতে এমন আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বানিয়ে রাখে মোসাদ। এসব প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ এবং গবেষণায় বিপুল অর্থ খরচ করে ইসরায়েল।
হিজবুল্লাহর নিরাপত্তাব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলেছে পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ। তবে এখন পর্যন্ত ইসরাইল হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এর পেছনে নিজেদের দায়ও স্বীকার করেনি তারা। এখন পর্যন্ত বিস্ফোরণে অন্তত ৩২ জন নিহত ও ৩ হাজার মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে এক ভাষণে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসারুল্লাহ দাবি করেছেন, পেজার বিস্ফোরণ হলেও তাদের মূল নেটওয়ার্ক এখনও অক্ষত। ইসরাইল হিজবুল্লাহর অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক স্পর্শ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল