মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ইউএস-ম্যাক্সিকো সীমান্তে একটি বিরল সফর করেছেন। সেখান থেকে তিনি অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস। এবার তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনসংক্রান্ত বিধি কঠোর করা করা হবে। সেই সাথে সীমান্ত দিয়ে ফেন্টানিল মাদকের প্রবেশ ঠেকানোও হতে তার প্রধান অগ্রাধিকার। কমলার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জীবনে অভিবাসীদের প্রভাব নিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আতঙ্ক আর বিভাজনের উত্তাপ ছড়াচ্ছেন।
কমলা হ্যারিস সীমান্ত বন্ধ রেখে অভিবাসী প্রবেশ ঠেকাবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। আর বেআইনিভাবে সীমান্ত অতিক্রম করা ব্যক্তিদের ধরে তাদের ওপর পাঁচ বছর যাতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ না করতে পারে সেই নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হবে।
সরকারি তথ্য অনুসারে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে প্রায় ৭০ লাখ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই সংখ্যাটা রেকর্ড পর্যায়ের বেশি। এ নিয়ে সমালোচনা করে থাকেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বাইডেন চলতি বছরের শুরুর দিকে অভিবাসনবিরোধী নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ঢুকে পড়ার ঘটনা অনেক কমেছে।
এদিকে নিয়মবহির্ভূত অভিবাসনের ক্রমবর্ধমান প্রবণতার জন্য গতকাল কমলা হ্যারিসকে দায়ী করেছেন ট্রাম্প। ম্যানহাটনের ট্রাম্প টাওয়ারে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘এই ধ্বংসের স্থপতি কমলা হ্যারিস। কীভাবে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে চান, সে সম্পর্কে তিনি কথা বলেই যাচ্ছেন। আমরা কেবল জানতে চাই, কেন তিনি চার বছর আগে কাজটি করেননি? এটা একটা খুব সাধারণ প্রশ্ন।’
কমলা যুক্তরাষ্ট্রের ছোট শহরগুলোকে শরণার্থী শিবিরে পরিণত করবেন বলেও অভিযোগ করেন ট্রাম্প।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল