ইসরায়েলের দীর্ঘ পরিকল্পিত অভিযানে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন। কয়েক মাস ধরে তাকে অনুসরণ করার পর হয়। এরপর শুক্রবার রাতে ইসরায়েল ব্যাপক হামলা চালায়। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে ইসরায়েলের তিনজন শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানা যায়। খবর অনুসারে, নাসরুল্লাহর অবস্থান সম্পর্কে ইসরায়েল আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল।
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এর মধ্যে রাজধানী বৈরুতে শুক্রবার রাতে চালানো হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হন। ইসরায়েল দাবি করে, হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধানের মৃত্যু হয়েছে। পরে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানান, নাসরুল্লাহকে হত্যার পরিকল্পনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। শুক্রবার রাতে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে তার অবস্থানে ৮০টিরও বেশি বোমা ফেলা হয়। তবে বোমাগুলোর ধরন বা ওজন নিয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
হামলার পর বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে ধ্বংসস্তূপে পরিণত একটি ভবনের ভেতর দিয়ে দুইজনকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। ইসরায়েলের হামলায় ওই ভবনটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানান, নাসরুল্লাহকে হত্যার সিদ্ধান্ত গত সপ্তাহে নেওয়া হয়েছিল। কারণ শীর্ষ নেতারা শঙ্কিত ছিলেন, তিনি স্থান পরিবর্তন করতে পারেন। সেই সময় ইসরায়েলের নেতারা লেবাননে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। আলোচনা শেষে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিতে চলে যান।
তিনজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, নাসরুল্লাহর রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে তার চাচাতো ভাই হাশেম সাফিয়েদ্দিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। হামলার সময় সাফিয়েদ্দিন নাসরুল্লাহর সঙ্গে ছিলেন না। ধারণা করা হচ্ছে, নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর দ্রুতই সাফিয়েদ্দিন হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল